গোলদাতা আলবার (ডানদিকে) সঙ্গে উচ্ছ্বাস মোরাতার। ছবি রয়টার্স
গোটা ম্যাচে একাধিক সেভ। পেনাল্টি শুট-আউটে বিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করা। দেশকে সেমিফাইনালে তুলতে সবরকমই চেষ্টা করেছিলেন ইয়ান সমার। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না তাঁর সতীর্থদেরই ব্যর্থতায়। স্পেনের কাছে পেনাল্টি শুট-আউটে ১-৩ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিল সুইৎজারল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১।
গোটা ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের শেষ ৩০ মিনিট ছাড়া সে ভাবে চোখেই পড়েনি স্পেনের আক্রমণ। বরং প্রতি আক্রমণে বারবার মন জয় করে নিচ্ছিল ভ্লাদিমির পেতকোভিচের সুইৎজারল্যান্ডই। এমনকী, দশ জন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও শেষ ৫০ মিনিটে তারা যে ভাবে খেলেছে তার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য।
শুরু থেকেই ম্যাচের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল স্পেন। তার ফসলও তোলে তারা। ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পেন। বক্সের বাইরে থেকে সাইড ভলি মেরেছিলেন জর্ডি আলবা। সুইৎজারল্যান্ডের ডেনিস জাকারিয়ার পায়ে লেগে তা গোলে ঢোকে। গোলকিপার সমারের কিছু করার ছিল না।
Thiago #EURO2020 pic.twitter.com/czjkzIqRVI
— UEFA EURO 2020 (@EURO2020) July 2, 2021
#EURO2020 pic.twitter.com/E6YZrEIoYX
— UEFA EURO 2020 (@EURO2020) July 2, 2021
সুইৎজারল্যান্ড ছেড়ে কথা বলেনি। জারদান শাকিরি, হ্যারিস সেফেরোভিচরাও একটানা আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনও দলের কাছেই সে ভাবে গোলের সুযোগ আসছিল না।
গোলসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আলভারো মোরাতাকে তুলে জেরার্ড মোরেনোকে নামান স্পেনের কোচ লুই এনরিকে। কিন্তু আক্রমণে ঝাঁজ বেশি সুইৎজারল্যান্ডের দিক থেকেই। সেই আক্রমণ থেকেই গোল তুলে নেয় তারা।
শাকিরি সমতা ফেরালেও গোলের পিছনে অবদান দুই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পাউ তোরেস এবং আয়মেরিক লাপোর্তে। ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল পড়ে শাকিরির সামনে। মাথা ঠান্ডা রেখে উনাই সিমনের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
এরপরেই ধাক্কা খায় সুইৎজারল্যান্ড। শাকিরিকে যিনি গোলের পাস বাড়িয়েছিলেন, সেই রেমো ফ্রিউলারকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেন রেফারি। দশ জনে হয়ে যাওয়ার পর সুইৎজারল্যান্ডের কাছে একটাই রাস্তা ছিল। নাগাড়ে ডিফেন্স করে খেলা যে কোনওরকমে পেনাল্টি শুট-আউটে নিয়ে যাওয়া। কারণ ততক্ষণে তুলে নেওয়া হয়েছিল শাকিরিকে।
কাজটা কঠিন ছিল। ফ্রিউলার লাল কার্ড দেখেছিলেন ৭৭ মিনিটে। অতিরিক্ত সময় ধরে বাকি প্রায় ৫০ মিনিট যে ভাবে স্পেনকে রুখে দিল সুইৎজারল্যান্ড, তাতে তাদের প্রশংসা প্রাপ্য।
এর বেশিরভাগ কৃতিত্বই প্রাপ্য সমারের। অতিরিক্ত সময়ে একের পর এক সেভ করলেন। আলবা, তোরেস, মিকেল ওয়ারজাবাল প্রত্যেকে গোলে বল রেখেছিলেন। সবাইকে ফিরিয়ে দেন সমার।
পেনাল্টি শুট-আউটেও রদরির শট আটকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ডের ফ্যাবিয়েন স্কার এবং ম্যানুয়েল আকাঞ্জির শট বাঁচান সিমন। মিস করেন ভার্গাস। এবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালেই রূপকথা থেমে গেল সুইৎজারল্যান্ডের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy