টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিতর্ক বাংলাদেশকে নিয়ে। সাজঘরের সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশের জাকের আলি সতীর্থ তানজিম হাসান শাকিবকে ডিআরএসের আবেদন করতে বলেন বলে অভিযোগ। নেপালের বিরুদ্ধে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটারের আচরণ ঘিরে তৈরি হয়েছে এই সন্দেহ।
ঘটনাটি বাংলাদেশের ইনিংসের ১৪তম ওভারে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। দেখা যাচ্ছে ব্যাটার ছিলেন তানজিম। নন স্ট্রাইকার প্রান্তে ছিলেন জাকের। নেপালের হয়ে বল করছিলেন সন্দীপ লামিছানে। ওভারের প্রথম বল তানজিমের প্যাডে লাগে। এলবিডব্লিউর আবেদন করেন নেপালের ক্রিকেটারেরা। তাঁদের আবেদনে সাড়াও দেন অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার স্যাম নোগাজস্কি। তিনি আউট দেওয়ায় তানজিম প্যাভিলিয়নে ফিরতে শুরু করেন। জাকেরকে দেখা যায় সাজঘরের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। ডিআরএস নেওয়ার সময় শেষ যাওয়ার মুহূর্তে তিনি তানজিমকে বলেন ডিআরএসের আবেদন করতে। তখন আবেদন করেন তানজিম। অথচ তার আগে এক বারও আবেদন করার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এটা দেখেই মনে করা হচ্ছে সাজঘরের সাহায্য নিয়ে ডিআরএসের আবেদন করেছেন জাকের।
শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান তানজিম। তৃতীয় আম্পায়ার ভারতের জয়রামন মদনগোপাল রিপ্লে দেখে জানান, আউট হননি তিনি। তাতে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি। লামিছেনের পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান তানজিম।
আরও পড়ুন:
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, ডিআরএস-এর আবেদন করার ক্ষেত্রে সাজঘর থেকে কোনও পরামর্শ দেওয়া বা নেওয়া যায় না। জাকেরের সন্দেহজনক আচরণ ঘিরে তাই প্রশ্ন উঠছে, নেপালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কি সাজঘরের সাহায্য নিয়ে ডিআরএসের আবেদন করেছিল?