Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Afghanistan Cricket

Afghanistan Crisis: ঘোর সঙ্কটে রশিদদের টি২০ বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ, তালিবানের পতাকা নিয়ে নামলে আফগানিস্তানকে ছাঁটাই

আফগানিস্তান নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে আইসিসি। তালিবানের পতাকা নিয়ে তাদের খেলতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়বে তারা।

রশিদ খান, মহম্মদ নবিরা যদি তালিবানের পতাকা নিয়ে খেলতে নামেন, তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের খেলা কার্যত অসম্ভব।

রশিদ খান, মহম্মদ নবিরা যদি তালিবানের পতাকা নিয়ে খেলতে নামেন, তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের খেলা কার্যত অসম্ভব।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:২৩
Share: Save:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের খেলা ঘোর সঙ্কটে। রশিদ খান, মহম্মদ নবিরা যদি আফগানিস্তানের পতাকা নিয়ে খেলতে নামেন, তা হলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তাঁদের তালিবানের পতাকা নিয়ে খেলতে বাধ্য করা হয়, তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের খেলা কার্যত অসম্ভব। ব্রিটেনের একটি দৈনিকের খবর সেরকমই।

ওই দৈনিকের বক্তব্য, হামিদ শিনওয়ারিকে সরিয়ে তালিবান তাদের ঘনিষ্ঠ নাসিব জাদরান খানকে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মাথায় বসিয়েছে। এর ফলে তালিবান এই বার্তাই দিয়েছে যে, দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে থাকবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও প্রচার পেতে এবং নজর কাড়তে তারা রশিদদের হাতে তালিবানের পতাকাই ধরাবে। সেটা হলে বিশ্বকাপ থেকে আফগানিস্তানকে হয়ত বাদ দিয়ে দেবে আইসিসি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। নিয়ম অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী সব দেশকে তাদের জাতীয় পতাকা আগে থেকে জানিয়ে দিতে হয়। আফগানিস্তান কী করবে, এখনও জানা যায়নি। তাদের নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে আইসিসি। আফগানিস্তান যদি তালিবানের পতাকা নিয়ে খেলতে নামে, তা হলে আদৌ তাদের খেলতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়বে আইসিসি।

আফগানিস্তান নিয়ে তাদের নীতি কী, তা পরিষ্কার করে জানানোর জন্য অন্য সদস্য দেশগুলি আইসিসি-র উপর চাপ দেবে। ব্রিটেনের ওই সংবাদপত্রের খবর, সে ক্ষেত্রে শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে না দেওয়াই নয়, আইসিসি হয়ত আফগানিস্তানের সদস্যপদই বাতিল করে দেবে। অর্থাৎ বিশ্ব ক্রিকেট থেকে বের করে দেওয়া হবে রশিদ, নবিদের দেশকে। আইসিসি-র ১৭ জন বোর্ড সদস্যের মধ্যে ১২ জন যদি আফগানিস্তানের সদস্যপদ খারিজের পক্ষে ভোট দেন, তা হলে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে সেটিই করতে হবে।

আরও সমস্যা রয়েছে। আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, তাদের প্রত্যেকটি পূর্ণ সদস্যের দেশকে মহিলাদের জাতীয় দলও রাখতে হবে। এই বছরই আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল তৈরির কথা ছিল। কিন্তু তালিবান সে দেশের দখল নেওয়ার পর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। তালিবান জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দেশে মহিলাদের খেলার কোনও অধিকার নেই। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়ে রেখেছে, আফগানিস্তান যদি তাদের মহিলা দল তৈরি না করে তা হলে তারা সেখানে টেস্ট খেলতে যাবে না।

আফগানিস্তান এ বার সরাসরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তারা গ্রুপ ২-এ রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে আসা দুটি দল যোগ হবে। ২৫ অক্টোবর আফগানিস্তানের প্রথম নামার কথা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE