অস্বস্তি: এনরিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। ফাইল চিত্র।
ইউরো ২০২০ শুরু হওয়ার আগে স্পেনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নের তালিকাতেও রেখেছিলেন আলভারো মোরাতাদের। কিন্তু টানা দু’টি ম্যাচ ড্র করায় শেষ ষোলোয় স্পেনের যোগ্যতা অর্জন নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, টিকে থাকতে হলে শেষ ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হবে জেরার মোরোনোদের। প্রশ্নের মুখে কোচ লুইস এনরিকের ভবিষ্যৎও।
‘ই’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেও সুইডেন গোলরক্ষক রবিন ওলসেনের দাপটে গোলশূন্য ড্র করেছিল স্পেন। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পোলান্ডের বিরুদ্ধে ২৫ মিনিটে মোরাতা গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ৫৪ মিনিটে সমতা ফেরান পোলান্ডের ‘গোলমেশিন’ রবার্ট লেয়নডস্কি। এর মিনিট দু’য়েক পরেই পেনাল্টি পায় স্পেন। অবিশ্বাস্য ভাবে জেরার মোরেনো বল পোস্টে মারেন। এই মুহূর্তে ‘ই’ গ্রুপে দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পোলান্ড।
কেন এই হাল স্পেনের? শনিবার ম্যাচের পরে হতাশ কোচ এনরিকে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “আমরা প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারিনি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারার ব্যর্থতাই জিততে না পারার অন্যতম কারণ।” যোগ করেন, “ভেবেছিলাম, এই ম্যাচে আরও ভাল খেলব। বাস্তবে তা হয়নি।” জিততে না পারলেও পোলান্ডের বিরুদ্ধেও আধিপত্য ছিল স্পেনেরই। ৬৯ শতাংশ বলের দখল ছিল হর্ঘে মেরোদিয়ো (কোকে), পেদ্রো লোপেজ় (পেদ্রি)-দের। তা হলে কেন জিততে পারল না দু’বারের ইউরোপ সেরারা? এনরিকের ব্যাখ্যা, “আমাদেরই জেতা উচিত ছিল। কারণ, আধিপত্য ছিল স্পেনেরই। তবে মনে হচ্ছিল ফুটবল নয়, যেন মাঠে বক্সিং হচ্ছে।” পোলান্ডের বিরুদ্ধে শারীরিক ফুটবল খেলার অভিযোগের পাশাপাশি প্রশংসাও করেছেন তিনি। এনরিকের কথায়, “রক্ষণ শক্তিশালী করে খেলছিল পোলান্ড। পুরো ম্যাচেই ওরা দ্রুত আমাদের আক্রমণগুলি থামিয়ে দিচ্ছিল।”
গোলদাতা মোরাতার মতে, প্রত্যাশার চাপই সমস্যায় ফেলছে। তিনি বলেছেন, “আমাদের পূর্বসুরিরা ছিলেন অসাধারণ। ওরা স্পেনকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের পক্ষে ওদের জায়গা নেওয়া কখনওই সম্ভব নয়। এটা কেউ বুঝতে পারছেন না।” টানা দু’ম্যাচে জিততে না পারার জন্য মোরাতাকেও কাঠগড়া তোলা হচ্ছে। জুভেন্টাসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সতীর্থের ব্যাখ্যা, “বলের গতি বেশি থাকার জন্যই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। আশা করছি, এই সমস্যা কাটিয়ে উঠব।” বিশেষজ্ঞদের মতে স্পেনকে রুখতে স্লোভাকিয়াও রক্ষণাত্মক খেলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy