প্রথম বার ‘ন্যাশনাল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ানশিপ’ –এ গিয়ে সফল হলেন মেদিনীপুরের সোমনাথ দাস। ২১-২৫ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের গাচিবাওলি স্টেডিয়ামে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে পনেরোশো মিটার দৌড়ে তৃতীয় স্থান দখল করেন মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত এক এনভিএফ কর্মী, শহরের রাজারপুকুর এলাকার বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের সোমনাথবাবু।
২০১২ সালে কাজে যোগ দেওয়া সোমনাথবাবু মেদিনীপুর শহরে তরুণ সঙ্ঘের অ্যাথলেটিক কোচিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব সামলান। জেলা ও রাজ্য স্তরে নানা দৌড় প্রতিযোগিতায় তিনি সফলও হয়েছেন। ২০১৪ সালে শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত রাজ্য মাস্টার্স অ্যাথলেটিকে ১৫০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হন। ২০১৫ সালে বহরমপুরে রাজ্য মাস্টার্স অ্যাথলেটিকেও ১৫০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হন। রাজ্যে প্রথম হওয়ার সুবাদে জাতীয় প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেও মূলত আর্থিক কারণে গোয়া ও মাইসোরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া হয়নি তাঁর। ২০১৬-তে কলকাতার সাইয়ে রাজ্য মাস্টার্স অ্যাথলেটিকে ১৫০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হন সোমনাথ।
এই বছরেও হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত ৩৮তম ন্যাশনাল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ানশিপে যাওয়ার জন্য যেটুকু অর্থের প্রয়োজন, তা-ও সময়মতো জোগাড় করতে পারেননি সোমনাথ। এই অবস্থায় তরুণ সংঘ ক্লাব তাঁর দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ক্লাবের সম্পাদক তপন ভকত বলেন, ‘‘সোমনাথ আমাদের ক্লাবের সদস্য। তাই আমরা ওঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। সফল হয়ে সোমনাথ আমাদের সম্মান বাড়িয়েছেন।’’
প্রথম বার জাতীয় স্তরের দৌড়ে যোগ দিয়েই সাফল্য মেলায় খুব খুশি সোমনাথবাবু। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা অনেক কঠিন। সারা দেশের বত্রিশ প্রতিযোগীর সঙ্গে দৌড়েছি। সেখানে তৃতীয় স্থান দখল করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।’’