ঊষা স্কুল অফ অ্যাথলেটিক্সের জমি দখলের অভিযোগ করলেন পিটি ঊষা। ছবি: টুইটার।
অ্যাকাডেমির জমি জবর দখল করে নিচ্ছে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। দেওয়া হচ্ছে হুমকি। নিজের অ্যাকাডেমির আবাসিক ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পিটি ঊষা। উপায় না দেখে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সাহায্য প্রার্থনা করলেন এশিয়া চ্যাম্পিয়ন প্রাক্তন স্প্রিন্টার।
অ্যাথলিট জীবন শেষ করার পর নিজের অ্যাকাডেমি তৈরি করেছেন ঊষা। ২০০২ সাল থেকে কেরলের বালুসেরিতে অ্যাথলিট গড়ার কাজ করছেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান। তাঁর একাধিক ছাত্রী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর সেই অ্যাকাডেমির জমিই দখল করার চেষ্টা করছে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এবং দুষ্কৃতী। দেওয়া হচ্ছে হুমকি। শনিবার এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রথম মহিলা সভাপতি।
দিল্লিতে ঊষা বলেছেন, ‘‘সমস্যার শুরু গত বছর রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হওয়ার পর থেকে। কিছু লোক ঊষা স্কুল অফ অ্যাথলেটিক্সের জমির মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করে। অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে, তারা খারাপ আচরণ করে। নির্মাণকারীদের দাবি, তাদের কাছে পানাঙ্গদ পঞ্চায়েতের অনুমতি রয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তার পর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘রাতে কিছু মদকাসক্ত লোকজন সমস্যা তৈরি করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে অ্যাকাডেমির নিকাশী নালার মধ্যে জঞ্জাল ফেলেন। আমাদের ক্রমাগত হেনস্থা করা হচ্ছে। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই আমরা। সমস্যা সমাধানে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি।’’
অবসর নেওয়ার পর ভারতের সর্বকালের সেরা মহিলা অ্যাথলিটকে অ্যাকাডেমি করার জন্য জমি লিজ দিয়েছিল কেরল স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। সেই জমিতে নিজের স্বপ্নের অ্যাথলেটিক্স অ্যাকাডেমি তৈরি করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অ্যাকাডেমির ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত ঊষা। এশিয়ার প্রাক্তন দ্রুততমা জানিয়েছেন, অ্যাকাডেমি তৈরির প্রথম থেকেই তাঁকে নানা বাধা এবং সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর আগে একাধিক সমস্যার সমাধান করেছেন। কিন্তু বার বার সমস্যা তৈরি হলে সুষ্ঠু ভাবে অ্যাথলিট গড়ে তুলবেন কী করে! ঊষা তাই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান। তিনি বলেছেন, ‘‘আগেও নানা রকম সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যার অনেক বেড়েছে। আশা করি প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে অ্যাথলেটিক্স স্কুল দখল হয়ে যাবে না।’’
১৯৮৪ সালের অলিম্পিক্সে অতি সামান্য ব্যবধানে ১০০ মিটার দৌড়ে পদক হাতছাড়া হয়েছিল ঊষার। অবসরের পর নিজের অধরা পদক ছাত্রীদের গলায় দেখার স্বপ্ন নিয়ে ঊষা স্কুল অফ অ্যাথলেটিক্স গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছে টিন্টু লুকা, জিস্না ম্যাথিউয়ের মতো অ্যাথলিটরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy