নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
কার্যত একপেশে লড়াইয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। শুক্রবার সেন্টার কোর্টে সেমিফাইনালে অষ্টম বাছাই ইয়ানিক সিনারকে ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ গেমে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেলেন সার্বিয়ার খেলোয়াড়। রবিবার অষ্টম বার উইম্বলডন হাতে তোলার সুযোগ রয়েছে জোকোভিচের সামনে। উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে টানা ৩৪টি ম্যাচ জিতলেন জোকোভিচ।
এই প্রতিযোগিতায় জোকোভিচকে খুব বেশি প্রতিরোধের সামনে পড়তে হয়নি। প্রথম রাউন্ড থেকে ফাইনাল পর্যন্ত মাত্র দু’টি সেট হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেমিফাইনালে সিনারের মতো তরুণ এবং উঠতি প্রতিভার বিরুদ্ধেও তিনি যে সরাসরি সেটে জিতে যাবেন, এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। তবে জোকোভিচ এই ম্যাচ যত না জিতলেন, তার থেকেও বেশি সিনার হারলেন। তৃতীয় সেট ছাড়া প্রথম দুটি সেটে সিনারের খেলা ছন্নছাড়া ছিল। জোকোভিচের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে গেলে এত ভুল করলেন জেতা যায় না। সিনারের ক্ষেত্রে সেটাই হল। এই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধেই গত বার দু’সেট পিছিয়ে থেকে জিততে হয়েছিল জোকোভিচ। এ বারের লড়াই ঠিক ততটাই একপেশে।
সেমিফাইনালে নেমে দ্বিতীয় গেমেই ব্রেক। যে কোনও প্রতিপক্ষের মনোবল তলানিতে ঠেকার জন্যে যথেষ্ট। সিনারের ক্ষেত্রেও কিছুটা সেটাই হল। গোটা ম্যাচে অসংখ্যা ‘আনফোর্সড এরর’ (অনিচ্ছাকৃত ভুল) করেছেন সিনার (৪৪)। সেই ভুলগুলি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যা বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে জোকোভিচকে। ফলে ‘উইনার’-এ সিনারের থেকে অনেকটা পিছিয়ে (৪৪-৩৩) থাকা সত্ত্বেও জিততে অসুবিধা হল না তাঁর। সিনারের শক্তিশালী সার্ভ জোকোভিচকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। সার্বিয়ার খেলোয়াড় রিটার্ন খুবই ভাল হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি ব্রেক পয়েন্ট হলেও কাজে লাগাতে দেননি।
প্রথম সেটের প্রথম গেমেই ব্রেক হতে পারতেন জোকোভিচ। ০-৩০ পিছিয়ে থাকা অবস্থাতেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সিনার। দু’টি ব্রেক পয়েন্ট পেয়েছিলেন। কোনওটিই কাজে লাগাতে পারেননি। জোকোভিচ এর পর আর ভুল না করে গেম জিতে নেন। পরের গেমেই তিনি ব্রেক করেন সিনারকে। প্রথম সার্ভে নিজের পয়েন্ট পেলেও জোকোভিচ দ্রুত ৪০-৩০ করে দেন এবং গেমও জেতেন। পরের সার্ভিস ধরে রাখায় জোকোভিচ এগিয়ে যান ৩-০ গেমে। এর পর কেউ নিজের সার্ভিস হারাননি। এমনিতেই সিনারের সার্ভিস অন্যতম শক্তিশালী। কিন্তু জোকোভিচের সামনে তাঁর জারিজুরি খাটছিল না।
দ্বিতীয় সেটে আগের তুলনায় ভাল খেললেন সিনার। কিন্তু তৃতীয় গেমে ব্রেক হওয়া থেকে বাঁচতে পারলেন না। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেই ‘ডাবল ফল্ট’ করলেন তিনি। তিনটি ব্রেক পয়েন্ট পেয়েছিলেন জোকোভিচ। প্রথম দু’টি সিনার কোনও মতে বাঁচিয়ে দিলেও তৃতীয় বার কাজে লাগান জোকোভিচ। পরের সেটে হঠাৎই নাটক। খেলায় বিঘ্ন ঘটানোর জন্যে সিনারকে একটি পয়েন্ট দিয়ে দেন আম্পায়াররা। জোকোভিচকে সতর্ক করে দেন। সার্বিয়ার খেলোয়াড় মানতে পারেননি। আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু ক্ষণ তর্ক হয় তাঁর। তবে সেই গেমটি জিততে অসুবিধা হয়নি। জোকোভিচ ৩-১ এগিয়ে যান। পঞ্চম গেমে একাধিক বার সিনারের কাছে ব্রেক করার সুযোগ এসেছিল। কোনওটাই কাজে লাগাতে পারেননি। জোকোভিচ আর ভুলের সুযোগ না দিয়ে ৬-৪ গেমে সেট জিতে নেন।
তৃতীয় সেটে একটু হলেও দেখা গেল লড়াই। এই সেটে সিনারের কিছু সার্ভের কোনও জবাব ছিল না জোকোভিচের কাছে। এমনও হয়েছে যে দু’-একটি গেমে জোকোভিচকে একটি পয়েন্টও পেতে দেননি সিনার। সেই দাপট বজায় রেখেই সেট জেতার সুযোগ ছিল তাঁর কাছে। তৃতীয় সেটে এক সময় ৫-৪ এবং ৪০-৩০ এগিয়েছিলেন সিনার। অর্থাৎ সেট জেতা থেকে একটি পয়েন্ট দূরে। সেখান থেকেও ডুবলেন ভুল শট খেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy