চলতি মরসুমে ফুটবলের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বার বার হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। হকিতেও জিততে পারল না তারা। কলকাতা প্রিমিয়ার হকি লিগে গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করেছিল। তবে ফাইনালে হেরে গেল ১-৩ গোলে। অপরাজিত থেকে ট্রফি জিতল মোহনবাগান।
রবিবার দুপুরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে ছিল ফাইনাল। ডার্বি বলেই প্রচুর সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। হাজির ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং হকি বেঙ্গলের সভাপতি সুজিত বসু। খেলার আগে সৌরভ-সহ বাকিরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিতি সারেন।
অর্জুন শর্মা এবং কার্তিক এস-এর গোলে ২-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের জামির একটি গোল শোধ করেন। তবে রাহিল মৌসিন গোল করে মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করেন। জয়ী মোহনবাগান ট্রফি ছাড়াও পেয়েছে তিন লক্ষ টাকা। রানার্স-আপ ইস্টবেঙ্গল পেয়েছে দুই লক্ষ টাকা। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় ইস্টবেঙ্গলের অতুলদীপ পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা মোহনবাগানের অভ্রণ সুদেবও একই টাকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:
জয়ের পর মোহনবাগানের কোচ সিমরনজিৎ সিংহ বলেন, “দলের মধ্যে একতা থাকার জন্যই আমরা জিতেছি। মাঠ নয়, মাঠের বাইরেও একতা রয়েছে। কোচের কাজই হল ক্রীড়াবিদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নের মানসিকতা তৈরি করা। সেটা পেরেছি বলেই ট্রফি জিতেছি।”
হকি লিগ জিতে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা দিয়েছেন মোহনবাগানের বিদায়ী সচিব দেবাশিস দত্ত। বলেছেন, “২২ বছর পর হকির দল নামিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। গত বছর রানার্স হওয়ার পর এ বার আবার চ্যাম্পিয়ন। গত কাল শুনলাম কোনও এক কর্তা বলেছেন, তাঁরা ক্রিকেট, হকি সবেতে মোহনবাগানকে হারাচ্ছেন। শুধু আইএসএলে পারছেন না। পরের দিনই মোহনবাগান হকিতেও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিল। এই জন্যই আগে থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করতে নেই।”