চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরে লিভারপুল। ছবি: এএফপি।
গত বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন লিভারপুলের তারকা ফুটবলার মহম্মদ সালাহ। সে বারের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার সের্জিও র্যামোস বিশ্রী ভাবে ফাউল করেন মিশরীয় তারকাকে।
লিভারপুল কোচ জুরগেন ক্লপ তুলে নিতে বাধ্য হন সালাহকে। তিনি উঠে যাওয়ায় ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় লিভারপুল। সে বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যায় মাদ্রিদে। র্যামোসের কুৎসিত ফাউলের জন্য সালাহর বিশ্বকাপে নামার স্বপ্নও প্রায় ভেঙে যেতে বসেছিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে মিশরের প্রথম ম্যাচে নামতে পারেননি সালাহ। গ্রুপের বাকি ম্যাচেও জ্বলে উঠতে পারেননি তারকা ফুটবলার। অথচ বিশ্বকাপে সম্ভাব্য তারকা হিসেবে সালাহকেই ধরেছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
গত বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্বপ্ন ভেঙেছিল সালাহর। এ বার তাঁর মুখে খেলা করছে হাজার ওয়াটের আলো। লিভারপুলের ম্যানেজার জুরগেন ক্লপও মেতে ওঠেন উৎসবে। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডেরই দুটো ক্লাব। ফাইনালে টটেনহ্যামকে ০-২ হারিয়ে খেতাব জেতে লিভারপুল। ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিভারপুলের সালাহ। শেষ মুহূর্তে গোল করেন পরিবর্ত হিসেবে নাম অরিগি।
শুরুতেই ছন্দপতন ঘটে টটেনহ্যামের। লিভারপুলের সাদিও মানের শট টটেনহামের মুসা সিসিকোর হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন লিভারপুলকে। পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে সমস্যা হয়নি সালাহর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে দ্বিতীয় দ্রুততম গোলটির মালিক সালাহই। এর আগে ২০০৫ সালে লিভারপুলের বিরুদ্ধেই ৫০ সেকেন্ডে দ্রুততম গোলটি করেছিলেন এসি মিলানের পাওলো মালদিনি। সে বারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিভারপুল।
মিশরীয় ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে একমাত্র গোলটি সালাহর নামেই। মরসুমে এটি তাঁর পঞ্চম গোল। টটেনহ্যাম গোল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা করলেও সমতা ফেরাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্ত ফের গোল হজম করে টটেনহ্যাম। অরিগির গোলে টটেনহ্যামের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। তৃতীয় বারের চেষ্টায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেন ক্লপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy