Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাবাডা স্লেজিং করতে এসেছিল, ফাঁস পূজারার

পূজারার মনঃসংযোগ নষ্ট করার মূল দায়িত্বে ছিলেন কাগিসো রাবাডা। সুইং ও গতি দিয়ে যখন পূজারার উইকেট নেওয়া যাচ্ছিল না, তখন ‘স্লেজিং’-এর পথ বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার।

 চর্চায়: পূজারাকে (ডান দিকে) ফিরিয়ে  উল্লাস রাবাডার। এএফপি

চর্চায়: পূজারাকে (ডান দিকে) ফিরিয়ে উল্লাস রাবাডার। এএফপি

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুণে শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৭
Share: Save:

ধৈর্যের পরীক্ষায় তাঁর সামনে ফের মাথা নোয়াতে হল দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি গড়ার মাঝেই তাঁর মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। কিন্তু সেই লক্ষ্যে ব্যর্থই হয়েছে তারা।

পূজারার মনঃসংযোগ নষ্ট করার মূল দায়িত্বে ছিলেন কাগিসো রাবাডা। সুইং ও গতি দিয়ে যখন পূজারার উইকেট নেওয়া যাচ্ছিল না, তখন ‘স্লেজিং’-এর পথ বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার। ডেলিভারি শেষ করার পরে বেশ কয়েক বার তাঁকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় পূজারার দিকে। ভারতীয় ব্যাটসম্যান যদিও রাবাডার সেই ফাঁদে পা দেননি। যেমন শান্ত মেজাজে বিপক্ষের অধীন থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন, এ দিনও সেই কাজটিই করছিলেন।

পূজারাকে কী বলছিলেন রাবাডা? ১১২ বলে ৫৮ রান করে সাংবাদিক বৈঠকে এসে পূজারা বলেন, ‘‘কী বলছিল তা সত্যি খেয়াল করিনি। যে কোনও ব্যাটসম্যানকে এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে ‌পড়তে হয়। বুঝতে পারছিলাম, মনঃস‌ংযোগ নষ্ট করার জন্যই এই পথ বেছে নিয়েছিল ও। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিকে কখনও গুরুত্ব দিই না। যত কম শোনা যায় ততই ভাল।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘তা ছাড়া, এক বার নিজের ছন্দে ইনিংস গড়তে শুরু করলে কোনও কথাই আর কানে আসে না। কে কী বলল তা মাথায় রাখলে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব নয়।’’ সতীর্থ মায়াঙ্ক আগরওয়ালের প্রশংসাও করে গেলেন ভারতের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। পূজারা বলছিলেন, ‘‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রান করার ফল তো পাবেই। রঞ্জি ট্রফিতে ভাল খেলার জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও সফল। ওর মতো ব্যাটসম্যানকে পরামর্শ দেওযার কিছু থাকে না। তৈরি হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে এসেছে।’’ ৮৭ থেকে দু’টি ছয় মেরে ৯৯ রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। সেঞ্চুরি করেন ফিল্যান্ডারকে কাট করে চার মেরে। ৯০-এর ঘরে ব্যাট করার সময় সাধারণত স্নায়ুর চাপ লক্ষ্য করা যায় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। কিন্তু মায়াঙ্কের মধ্যে সেই চাপ দেখা যায়নি। পূজারার ব্যাখ্যা, ‘‘মায়াঙ্কের ‘নার্ভাস নাইনটিস’ বলে কিছু নেই। রঞ্জি খেলার সময়েও লক্ষ্য করেছি। ৯০-এর ঘরে ঢোকার পরেও নিশ্চিন্ত থাকে। এই মনোভাবই ওকে অনেক দূর এগিয়ে দেবে।’’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত রান তোলার কাজ করেছে মায়াঙ্ক-পূজারা জুটি। সকালের দিকে পেসাররা সাহায্য পাওয়ার পরে স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হত তাঁদের। এক দিক থেকে ২৯ ওভার বল করে বিনা উইকেটে ৮৯ রান দিয়েছেন কেশব মহারাজ। বিপক্ষের মূল স্পিনারের এই অবস্থা দেখেই স্পষ্ট স্পিন আক্রমণে তাঁরা কতটা সফল। কী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করছিলেন? পূজারার উত্তর, ‘‘প্রথম সেশনে বল ঘুরছিল না। তাই দ্রুত রান করার চেষ্টা করি। দ্বিতীয় সেশন থেকে বল সামান্য ঘুরতে শুরু করেছিল। তাই স্টেপ আউট করে রান বার করার চেষ্টা করেছি।’’

পুণের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কতটা কঠিন? পূজারার উত্তর, ভারতের যে কোনও মাঠে চতুর্থ ইনিংস ব্যাট করা কঠিন। তাই দেশের মাটিতে প্রত্যেক ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে চাই আমরা। পুণের এই উইকেটে কাল থেকে আরও বল ঘুরবে। ব্যাটসম্যানদের সামনে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’’

ভারত ভাল ব্যাট করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা কি নিজেদের সেরাটা দিতে পেরেছে? ফ্যাফ ডুপ্লেসিদের বোলিং কোচ ভিনসেন্ট বার্নস বলছিলেন, ‘‘প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা বল করতে পারিনি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy