ঈশান, সূর্যের দুরন্ত লড়াই। ফাইল ছবি
স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছিল জিততে গেলে তাদের তুলতে হবে ২৩৬ রান। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ক্রিকেটারদের মাথার মধ্যে ঘুরছিল একটাই সংখ্যা – ৬৬। কারণ, ওই রানে পৌঁছলেই এ বারের মতো মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যাত্রাভঙ্গ করতে পারবে তারা। সেই রান তুলতে বেশিক্ষণ অপেক্ষাই করতে হল না। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলেই ট্রেন্ট বোল্টকে ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে রান নিতে দৌড়লেন মণীশ পান্ডে। সেই সঙ্গে এ বারের মতো মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যাত্রা শেষ হয়ে গেল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ২৩৫/৯-এর জবাবে হায়দরাবাদ তুলল ১৯৩/৮।
তবে বিরাট কোহলীর হাসি যে চওড়া হল তাতে সন্দেহ নেই। দুবাইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলার ফাঁকে তিনি নিশ্চয়ই খবর রাখছিলেন এই ম্যাচের। ঈশান কিশন এবং সূর্যকুমারের যাদবের ছন্দ নিশ্চয়ই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁকে স্বস্তি দেবে।
প্লে-অফে উঠতে গেলে মুম্বইয়ের সামনে একটাই রাস্তা খোলা ছিল। প্রথমে ব্যাট করে অন্তত ১৭১ রানে জিততে হবে। টস করতে নেমে রীতিমতো নার্ভাস ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। উল্টোদিকে টস করতে এলেন মণীশ। কেন উইলিয়ামসনকে বিশ্রাম দিয়েছিল হায়দরাবাদ। ফলে এ বারের আইপিএল-এ তাদের তিন নম্বর অধিনায়ককে দেখা গেল। টস ভাগ্য রোহিতের পক্ষেই গেল। কিন্তু বহুদিনের পুরনো যোদ্ধা শুরুতেই বলে দিলেন, রানের সংখ্যা তাঁর মনে ভয় ধরাচ্ছে।
তবে ব্যাট হাতে নামার পর সেই চিন্তা ফিকে হতে বেশি সময় লাগেনি। স্বপ্নের মতো শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিশন। আগের ম্যাচেই রানে ফেরা ঈশান শুক্রবার যেন বল মাঠের বাইরে পাঠাবেন বলেই নেমেছিলেন। প্রথম থেকেই ধুমধাড়াক্কা মারতে শুরু করলেন হায়দরাবাদ বোলারদের। কাউকে রেয়াত করেননি। ষষ্ঠ ওভারে যখন ১৮ রান করে রোহিত ফিরলেন, তখন দলের স্কোর ৮০। ঈশানের রুদ্রমূর্তি দেখে এক সময় মনে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্রুততম শতরান করে ফেলবেন। তবে সেই ঝড় থামালেন উমরান মালিক। মাত্র ৩২ বলে ৮৪ রান করে ফিরলেন ঈশান।
ঝাড়খন্ডের ব্যাটার ফেরায় মনে হয়েছিল যে মুম্বইয়ের রান তোলার গতি কমবে। কিন্তু সূর্যকুমার যাদব যেন ঈশানের মানসিকতা নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। তাঁর ব্যাট থেকেও একের পর এক শটের ফুলঝুরি দেখা গেল। শেষ পর্যন্ত তিনি থামলেন ৪০ বলে ৮২ করে। মুম্বইয়ের বাকি ব্যাটসম্যানরা প্রায় কেউই কোনও অবদান রাখতে পারেননি। কিন্তু ঈশান এবং সূর্যের দৌলতে ২৩৫ রানে পৌঁছে যায় মুম্বই।
জিততে গেলে ৬৫ বা তারও কমে বেঁধে রাখতে হত হায়দরাবাদকে। কিন্তু মুম্বই যে ছন্দে শুরু করেছিল, হায়দরাবাদের খেলাতেও দেখা গেল সেই ছাপ। জেসন রয়ের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন অভিষেক শর্মা। দু’জনে মিলে প্রথম উইকেটে ৬৪ তুলে দিলেন। জেসন ফেরার পরেই ৬৬ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় হায়দরাবাদ। এরপর কমে যায় তাদের রান তোলার গতিও। পরপর উইকেট পড়তে থাকে। অভিষেক শর্মাও (৩৩) কিছুক্ষণ পরে ফিরে যান। একদিক ধরে রেখেছিলেন অধিনায়ক মণীশ (অপরাজিত ৬৯)। কিন্তু উল্টোদিকে কারওর সমর্থন পাননি। হায়দরাবাদের মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ। নির্ধারিত ওভারে ১৯৩ রান তোলে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy