মর্গ্যান, রাহুলের জুটি তফাত গড়ে দিল। ছবি - টুইটার
অর্ধেক যুদ্ধ বোলাররা জিতিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ক্রিকেট যে ঘোর অনিশ্চয়তার খেলা। শুরুতেই ওপেনিং ও মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরানোয় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে শেষ পর্যন্ত এক দিক আগলে রেখে চার ম্যাচ পরে দলের জয় নিশ্চিত করলেন অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে তাঁর সঙ্গে রাহুল ত্রিপাঠির ৬৬ রানের জুটি ম্যাচের রং বদলে দিল। ফলে মরণ বাঁচন ম্যাচে ৫ উইকেটে কে এল রাহুলের পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জিতে যেন ফের শ্বাস ফিরে পেল কলকাতা।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের বাইশ গজে আগাগোড়া দাপট দেখাল নাইটদের বোলিং। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে শিবম মাভির ৪ ওভারের কোটা শেষ করে বিপক্ষকে চমকে দেন মর্গ্যান। তবে কে এল রাহুলকে আউট করে পঞ্জাবের ব্যাটিংকে প্রথম ধাক্কা দেন ভারতের হয়ে করোনা যুদ্ধতে নাম লেখানো প্যাট কামিন্স। সেই ধাক্কা হজম করার আগে প্রথম বলেই কার্তিককে খোঁচা দিয়ে মাভির বলে ফিরলেন ক্রিস গেল।
এরপর নারাইন, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও বরুণ চক্রবর্তীর দাপটে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি পঞ্জাবের মিডল অর্ডার। ময়াঙ্ক আগরওয়াল ৩১ ও শেষ দিকে ক্রিস জর্ডন ১৮ বলে ৩০ না করলে স্কোর বোর্ডে আরও কম রান উঠত। যদিও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ (৩/৩০), সুনীল নারাইন (২/২২), প্যাট কামিন্সের (২/৩১) দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৩ রানে আটকে গেল পঞ্জাব।
তবে পরপর চার ম্যাচ হারা নাইটদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেও ভাল হল না। শুভমন গিল ও নীতীশ রানা ফের ব্যর্থ হলেন। ফলে মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে নিজেদের চাপ বাড়িয়ে নেয় কেকেআর। নারাইন এ দিন বোলিং হাতে দাপট দেখালেও ব্যাটিংয়ে দলকে সাহায্য করতে পারলেন না। রাজস্থান ম্যাচের মতো এ বারও অহেতুক মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন। ১৭ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে তখন নাইট ডাগঅউট বেশ চাপে।
যদিও সেই সময় দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে ধরলেন মর্গ্যান ও রাহুল। পাল্টা আক্রমণ করে চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রান তুললেন দুজন। কিন্তু ম্যাচ যখন প্রায় হাতের মুঠোয় ঠিক সেই সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ফিরলেন রাহুল। এর কিছুক্ষণ পরে রান আউট হলেন আন্দ্রে রাসেল।
যদিও এতে নাইটদের জয় আটাকানো যায়নি। ১৬.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলে নেয় কেকেআর। মর্গ্যান মাথা ঠান্ডা রেখে ৪০ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ১২ রানে অপরাজিত থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক কার্তিক। তাই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এল কেকেআর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy