রয়্যালসদের প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখতে বড়সড় ভূমিকা নিলেন জোফ্রা আর্চার। ছবি: সংগৃহীত।
রান আপ যতটা সাবলীল, বোধহয় তার থেকেও সহজে চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের পেস অ্যাটাকের ভার বয়ে চলেছেন জোফ্রা আর্চার। কখনও পাওয়ার প্লে-তে, কখনও বা আবার ডেথ ওভারে— বল হাতে রয়্যালসদের বার বার ভরসা জুগিয়েছেন ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার। শুক্রবারের মরণ বাঁচন ম্যাচেও রয়্যালসদের প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখতে বড়সড় ভূমিকা নিলেন আর্চার।
বল হাতে প্রতি ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারের ঝোড়ো গতি তুলতে পারেন। আবার ব্যাট হাতেও বল পাঠাতে পারেন বাউন্ডারির বাইরে। চলতি আইপিএলে আর্চারের ইকোনমি রেটই তাঁর হয়ে কথা বলছে। টুর্নামেন্টের ১৩ ম্যাচে ১৯ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে খরচ করেছেন ৩৪৬ রান। ইকোনমি রেট ৬.৬৯। পার্পল ক্যাপের জন্য এই মুহূর্তে ২৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের কাগিসো রাবাদাও তাঁর থেকে এ ক্ষেত্রে ঢের পিছনে। রাবাদার ৮.১৩ ইকোনমি রেটের আগে রয়েছেন যশপ্রীত বুমরা (৭.১৮) এবং পরে মহম্মদ শামি (৮.৬৭)। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীদের তালিকায় এই মুহূর্তে আর্চার ৪ নম্বরে। যদিও অনেকের মতে, আর এক জন সাপোর্ট বোলার পেলে হয়তো পার্পল ক্যাপটা তিনিই পরে থাকতেন।
রয়্যালসের হয়ে কতটা ভার বইতে হচ্ছে আর্চারকে? রাবাদার সঙ্গে পেস অ্যাটাকের দায়িত্ব ভাগাভাগি করার জন্য দিল্লি শিবিরে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নোখিয়া। মুম্বইয়ের বুমরা সঙ্গে পাচ্ছেন ট্রেন্ট বোল্ট বা জেমস প্যাটিনসনের মতো স্পিডস্টারকে। আবার কিংসের হয়ে যখন মাঠে নামেন শামি, তাঁকে সাপোর্ট করার জন্য পাওয়ার প্লে-তে রয়েছে অর্শদীপ সিংহ। অন্য দিকে, আর্চারকে স্টিভ স্মিথের কাছে রয়্যালসের বোলিং অ্যাটাকে সিংহভাগই সামলাতে হচ্ছে। দলে শ্রেয়স গোপালকে চলতি আইপিএলের সেরা কুড়ির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রয়্যালসের অন্য কোনও পেসার নেই টুর্নামেন্টের প্রথম তিরিশের ঘরে। ১৯ বছরের কার্তিক ত্যাগীর বোলিং প্রশংসা কুড়োলেও এখনও পর্যন্ত মোক্ষম সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে আর্চারের ভার কমাতে পারেননি তিনি। রয়্যালসের হয়ে অভিজ্ঞ জয়দেব উনাদকটের সংগ্রহ মোটে ৪ উইকেট। অঙ্কিত রাজপুত এখনও পর্যন্ত ২ উইকেট পেয়েছেন। ফলে রয়্যালসের বোলিং অ্যাটাকে ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথকে আস্থা জোগাচ্ছেন কেবলমাত্র আর্চারই। এই টুর্নামেন্টে গোটা দলের ৩৮ উইকেটের মধ্যে আর্চার একাই ১৯।
জোফ্রা আর্চারের ইয়র্কারে উইকেট হারিয়ে বিরক্তিতে ব্যাট ছুড়ে ফেললেন ক্রিস গেল। ছবি: সংগৃহীত।
গত কালের ম্যাচেও কিংসদের বিরুদ্ধে আর্চারই স্টিভ স্মিথের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের সৌজন্যে রয়্যালসের ঘরে মূল্যবান ২ পয়েন্ট এলেও এ কথা অনেকেই মানবেন। পাওয়ার প্লে-তে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার পাশাপাশি বাউন্সারে তুলে নিয়েছেন ওপেনার মনদীপ সিংহের উইকেট। আর ডেথ ওভারে যখন ক্রিস গেলের সেঞ্চুরি নিশ্চিত মনে হচ্ছিল, সে সময়ও ত্রাতা হয়েছেন সেই আর্চারই। গেলের পায়ে এমন ইয়র্কার ছুড়েছেন যা ইনসাইড এজে ছিটকে দিয়েছে তাঁর স্টাম্প। অধরা সেঞ্চুরির শোকে শেষ কবে গেল এতটা বিরক্ত হয়ে ব্যাট ছুড়ে ফেলেছেন, মনে করতে পারছেন না বহু ফ্যান।
আরও পড়ুন: সামনে কঠিনতম কাজ, শেষ দুটোয় জিততেই হবে
আরও পড়ুন: মিনি ড্রেসে সাইনা, স্টাইলিশ কাশ্যপ, ‘দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমা’র ছবি ভাইরাল ব্যাডমিন্টন তারকার
রয়্যালস কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড তো বলেই দিয়েছেন, “জোফ্রাকে ম্যাচের নানা ফেজে বল করানোর কথা সব সময়ই ভাবা হয়। তবে কেবল ৪ ওভারই রয়েছে ওঁর। এবং আমাদেরও দেখতে হবে কখন তা ভাল ভাবে ব্যবহার করা যায়।”
আর্চারকে অবশ্য ভাল ভাবেই ব্যবহার করছে রয়্যালস ম্যানেজমেন্ট। কিংস ম্যাচে জিতে এই মুহূর্তে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট রয়্যালসের। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে কলকাতার বিরুদ্ধে। রবিবারের সেই ম্যাচ ফের আর্চারের দিকেই তাকিয়ে রয়্যালসরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy