(বাঁ দিকে) পিআর শ্রীজেশ। সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় হকি দলের গোলরক্ষক পিআর শ্রীজেশের সঙ্গে দেখা করতে। এর্নাকুলামের বাড়িতে বোসকে পেয়ে কেরলের সিপিএম নেতৃত্বাধীন পিনারাই বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সোনার ছেলে। সেই সঙ্গে বাংলার রাজ্যপালের অভিনন্দনে আপ্লুত তিনি।
একাধিক মালায়ালি সংবাদমাধ্যমে শ্রীজেশকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘‘আমি এশিয়ান গেমস খেলে এর্নাকুলামে ফেরার পর থেকে সরকার, মুখ্যমন্ত্রী তো দূরের কথা, স্থানীয় পঞ্চায়েতেরও কেউ এসে আমায় অভিনন্দন জানায়নি। যা খেলোয়াড় হিসাবে আমার কাছে আক্ষেপের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উল্টো দিকে দেখতে পাচ্ছি, হরিয়ানা সরকার সে রাজ্যের সোনাজয়ীদের কোটি টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দিচ্ছে। সঙ্গে রাজকীয় সংবর্ধনা। ভারতীয় হকি দলে আমার সতীর্থ অমিত রুইদাসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার হাতে আর্থিক পুরস্কার তুলে দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এ সব দেখে আরও হতাশ লাগছে।’’
প্রসঙ্গত, বাংলার রাজ্যপাল বোসও কেরলের ভূমিপুত্র। তিনি কেরল সরকারের আমলাও ছিলেন। বাংলায় ১০০ দিনের কাজ আবাস যোজনার বকেয়া নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গোচরে আনতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে বৈঠকের অব্যহবিত পরেই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই কাজ মিটিয়ে আপাতত নিজের রাজ্যেই রয়েছেন বোস। বৃহস্পতিবার তিনি গিয়েছিলেন শ্রীজেশকে অভিনন্দন জানাতে। কেরলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বাংলার রাজ্যপালকে শ্রীজেশ যেমন ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তেমনই কেরল সরকারের ভূমিকা নিয়ে তিনি তাঁর আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
এশিয়ান গেমসের পুরুষদের হকি ফাইনালে জাপানকে ৫-১ গোল হারিয়ে দেয় ভারত। গোটা প্রতিযোগিতার মতো ফাইনাল ম্যাচেও তেকাঠির নীচে শ্রীজেশ ছিলেন দুর্ভেদ্য। তিনি জানিয়েছেন, বাংলার রাজ্যপাল তাঁকে উৎসাহিত করেছেন। শ্রীজেশের এই ক্ষোভ নিয়ে অবশ্য কেরল সরকারের কোনও মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy