ইশান পোড়েল। —ফাইল চিত্র
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এ বার বাংলা থেকে কেউ সুযোগ পাননি। কিন্তু ভারত যে চার বার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে, তার মধ্যে তিন বারই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিন বাঙালি। ২০০৮-এ বিরাট কোহালির দলের উইকেটকিপার হিসেবে খেলেছেন শ্রীবৎস গোস্বামী। ২০১২-এ উন্মুক্ত চন্দের দলের মূল পেসার ছিলেন রবিকান্ত সিংহ। শেষ বার পৃথ্বী শ-দের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম কারিগর ঈশান পোড়েল।
বাংলার এই তিন ক্রিকেটারও যশস্বী জয়সওয়ালদের মতো ফাইনালের আগের রাতের চাপ অনুভব করেছেন। প্রথম বার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নের এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে কী অনুভূতি হয়েছিল তাঁদের? নিউজ়িল্যান্ড থেকে ফোনে ঈশান পোড়েল জানিয়ে দিলেন, ফাইনালের আগের রাতে তাঁর ঠিক মতো ঘুম হয়নি। ২০১৭-১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন ঈশান। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে উইকেট পাননি। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চার উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন ক্রিকেটবিশ্বের।
ফাইনালের আগের রাতে কী হয়েছিল ঈশানের? ‘‘সত্যি বলতে, ঠিক মতো ঘুমোতে পারিনি। মনে হচ্ছিল আর কিছুক্ষণের মধ্যেই জীবনের সব চেয়ে বড় পরীক্ষা। বিছানায় শুধু অস্বস্তিতে ছটফট করেছিলাম।’’ ম্যাচের আগের রাতে ঈশান, শুভমন গিলদের বিশেষ পরামর্শ দিয়েছিলেন পৃথ্বী। কী বলেছিলেন? ঈশানের উত্তর, ‘‘ডিনার করতে যাওয়ার সময় পৃথ্বী বলেছিল, এই সুযোগের জন্যই অপেক্ষা করেছি। এই ম্যাচ জীবন বদলে দিতে পারে। বাকিটা ইতিহাস।’’
এ দিকে বিরাট কোহালির দলের (২০০৮) সদস্য শ্রীবৎস গোস্বামীর অনেক কিছুই মনে নেই। কিন্তু শেষ রাতে দলীয় বৈঠকে অধিনায়ক বিরাট কোহালি একটি বার্তাই দিয়েছিলেন। পাটিয়ালা থেকে ফোনে শ্রীবৎস বলছিলেন, ‘‘আমাদের সময় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কের খুব একটা বক্তব্য রাখার জায়গা ছিল না। কোচ ডাভ হোয়াটমোরই দলীয় বৈঠকে বক্তব্য রাখতেন। কিন্তু ফাইনালের আগের রাতে রিকভারি সেশনের পরে বিরাট আমাদের বলেছিল, এত দিন যে আত্মবিশ্বাস ও ছন্দের সঙ্গে খেলেছি, ফাইনালেও সেটা বজার রাখতে হবে। ফাইনালে আমাদের বিরুদ্ধে উড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা’’ যোগ করেন, ‘‘আশা করব যশস্বীরাও বাংলাদেশকে হারিয়ে পঞ্চম বার দেশকে কাপ তুলে দেবে।’’
বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে রবিকান্ত সিংহেরও। ময়দানে প্রথম ডিভিশন ক্রিকেটের অন্যতম প্রতিভাবান পেসার তিনি। ২০১২ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তিন উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি হয়েছিল সে ম্যাচে। তাঁর কাছে ফাইনালের আগের রাতে অনুভূতি কেমন ছিল? রবিকান্তের উত্তর, ‘‘পাকিস্তানকে হারানোর পরে আমাদের মনোবল প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। জানতাম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল জেতা সহজ নয়। কোচ বি অরুণ আমাদের চাপ কাটাতে পরামর্শ দেন, আর পাঁচটি ম্যাচের মতোই দেখো। বাড়তি চাপ নিলে নিজের সেরা খেলাটা বার করতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy