ফুরফুরে: জন্মদিনে সাইরাসের সঙ্গে বেইতিয়ারা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
চার মাস আগে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে যুবভারতীতে গোকুলমের জার্সিতে জোড়া গোলে তিনি হারিয়েছিলেন মোহনবাগানকে। ট্রফি জয়ের খুব কাছে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কিবু ভিকুনার দলের।
ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর সেই স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফ ফের হাজির। সঙ্গী উগান্ডার হেনরি কিসেক্কা। যিনি গত মরসুমে খেলে গিয়েছেন মোহনবাগানে। এ বার আই লিগে গোকুলমের এই দুই বিদেশিই গোল পেয়েছেন। আজ, সোমবার কল্যাণীতে তাদের বিরুদ্ধে আই লিগের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামছে সবুজ-মেরুন শিবির। কেরলের যে দলের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ সাক্ষাতের একটাতেও জেতেনি মোহনবাগান।
তিক্ত সেই স্মৃতি তাজা মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ কিবু ভিকুনার মনেও। সাংবাদিক বৈঠকে বলে গেলেন, ‘‘সোমবার নতুন একটা ম্যাচ খেলব গোকুলমের বিরুদ্ধে। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে শেষ দিকে অনেক সুযোগ পেয়েও তা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। এ বার সেই ভুল করা চলবে না।’’ সঙ্গে গোকুলমের আক্রমণ ভাগ নিয়ে বলেন, ‘‘ওদের আক্রমণ ভাগ দুর্দান্ত। আমাদের বিরুদ্ধে গোল করেছে অতীতে। রক্ষণকে অটুট রাখতে হবে।’’
তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় মোহনবাগান এখন পাঁচে। শেষ ম্যাচে ট্রাউ এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম জয় পেয়েছে মোহনবাগান। গোকুলমের পরেই আগামী রবিবার মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির আগে তাই মেপে পা ফেলতে চায় সবুজ-মেরুন শিবির।
এ দিনই ছিল মোহনবাগান স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাসের জন্মদিন। যিনি মার্কাসের দেশ ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর নাগরিক। জাতীয় দলে সাইরাসের অধিনায়কত্বে খেলেছেনও মার্কাস। রবিবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে দাঁড়িয়ে সেই সাইরাসও চিন্তিত স্বদেশীয় মার্কাসকে নিয়ে। বললেন, ‘‘পায়ে বল আসার আগে ও নির্লিপ্ত ভাবে ঘোরে। বল পায়ে পড়লেই বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে। কল্যাণীতে ওকে এক বারের জন্যও নজরের বাইরে রাখা যাবে না।’’ যোগ করেন, ‘‘মার্কাসের দুই পায়েই জোরাল শট রয়েছে। চার বছর আগে শেষ বার ওর বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। সে বার ম্যাচটা গোলশূ্ন্য ড্র হয়েছিল।’’
সবুজ-মেরুন শিবিরের কাছে সুখবর, মার্কাসের স্বদেশীয় গোকুলম স্টপার আন্দ্রে এঁতিয়েন গত ম্যাচে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখায় বেইতিয়াদের বিরুদ্ধে নেই। বেইতিয়া, সুহের ভি পি-রা এই খবরে খোশমেজাজে থাকলেও কিবু সতর্ক। বলেন, ‘‘ওর পরিবর্তে যে খেলবে, সে নিজের সেরাটা দিয়ে এঁতিয়েনকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।’’
বিকেলে মোহনবাগান অনুশীলনে অবশ্য এঁতিয়েনবিহীন গোকুলম রক্ষণে কী ভাবে জাঁকিয়ে বসতে হবে, তার অনুশীলন হল। মাঝমাঠ থেকে শেখ সাহিল, বেইতিয়া, নওরেমরা তিন-চারটি পাসে খুলে ফেলছিলেন বিপক্ষের গোলের দরজা। মোহনবাগান অনুশীলন থেকে স্পষ্ট, মার্কাস যাতে মোহনবাগান রক্ষণে ফাঁকা জায়গা পেয়ে ভয়ঙ্কর হতে না পারেন, তার জন্য চার ব্যাকের সামনে দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার শেখ সাহিল ও ফ্রান্স গঞ্জালেসকে রাখছেন কিবু। দুই প্রান্ত থেকে উড়ে আসা ক্রস যাতে বিপক্ষ কাজে না লাগাতে পারে, তার জন্য হল বল বিপন্মুক্ত করার অনুশীলনও।
বার্সেলোনাবাসী গোকুলমের আর্জেন্টিনীয় কোচ ফের্নান্দো আন্দ্রেস সান্তিয়াগো ভালেরা যদিও নিজেদের ফেভারিট বলতে নারাজ। দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তাঁর দল তিন নম্বরে। কিন্তু তিনি বলছেন, ‘‘ঘরের মাঠে মোহনবাগানই এগিয়ে থাকবে। তবে আশা করছি, আমরা ভাল খেলব। ওদের জুলেন কলিনাস, জোসেবা বেইতিয়াদের নজরে রাখতে হবে।’’
সোমবার আই লিগে: মোহনবাগান বনাম গোকুলম (কল্যাণী, বিকেল ৫.০০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy