পিআর শ্রীজেশ। —ফাইল চিত্র।
প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচ খেলার পর আন্তর্জাতিক হকি থেকে অবসর নিয়েছেন পিআর শ্রীজেশ। অবসরের সিদ্ধান্ত অলিম্পিক্সের আগেই নিয়েছিলেন তিনি। তবু বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না ভারতীয় হকির ‘গ্রেট ওয়াল’। অবসরজীবনে পা রাখার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর কাঁধে গুরু-দায়িত্ব চাপিয়ে দিল হকি ইন্ডিয়া।
সদ্য অবসর নেওয়া গোলরক্ষককে এ বার দেখা যাবে গুরুর ভূমিকায়। ভারতের যুব দলের প্রধান কোচ করা হল অলিম্পিক্সে দু’বারের পদকজয়ীকে। হকি ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘‘কিংবদন্তিকে এ বার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। পিআর শ্রীজেশকে ভারতের যুব দলের প্রধান কোচ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। খেলোয়াড়জীবনের মতো কোচ হিসাবেও শ্রীজেশ জুনিয়রদের অনুপ্রাণিত করবেন। কোচ হিসাবে আপনাকে দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’’
শ্রীজেশ আগেই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন, অবসর নেওয়ার পর কোচিং করাতে চান। হকি ইন্ডিয়ার সভাপতি তথা ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক দিলীপ তিরকে মাথায় রেখেছিলেন সে কথা। দেশের জার্সি গায়ে শ্রীজেশ শেষ ম্যাচ খেলে ফেলতেই তাঁর কাঁধে নতুন দায়িত্ব চপিয়ে দিলেন তিরকে। হকি ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল ভোলানাথ সিংহ জানিয়েছেন, স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে সরকারি ভাবে ভারতের যুব দলের কোচ হিসাবে নিয়োগ করা হবে শ্রীজেশকে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘‘শ্রীজেশ শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলল। ওকে জাতীয় যুব দলের প্রধান কোচ করা হচ্ছে। সাই কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে আমরা চূড়ান্ত ঘোষণা করব।’’
কোচিং করানোর ইচ্ছা থাকলেও সরাসরি জাতীয় যুব দলের দায়িত্ব পাবেন, ভাবেননি শ্রীজেশ। হকি ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তে তিনি উচ্ছ্বসিত। কোচিং প্রসঙ্গে তিনি আগে বলেছিলেন, ‘‘কোচিং করানো ইচ্ছা আমার আছে। গোলরক্ষক হিসাবে আমি মাঠে কার্যত কোচের ভূমিকা পালন করছি দীর্ঘ দিন ধরে। সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলা, দলের রক্ষণ সাজানোর কাজ আমাকে করতে হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দলের মিডফিল্ডার এবং ফরোয়ার্ডদের খেলার কথা বলি। ওরা কোনও ভুল করলে ধরিয়ে দিতে হয়। আরও অনেক হকি ম্যাচ মাঠের ধারে বসে দেখতে পাব কোচ হিসাবে। এটাও আমার উৎসাহের অন্যতম কারণ। অন্তত ১৫ জন কোচের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে খেলোয়াড় হিসাবে। এত দিনের অর্জিত অভিজ্ঞতা অপচয় করতে চাই না। ভবিষ্যতে অবশ্যই আমি কোচিং করাব।’’
আন্তর্জাতিক হকিতে শ্রীজেশের ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিরকেও। একসঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতার সুবাদে কোচির গোলরক্ষকের জ্ঞান এবং দক্ষতা অজানা নয়। তাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষকের হাতেই তিনি তুলে দিতে চান জাতীয় দলের ভবিষ্যতের তারকাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy