প্য়ারিসে সোনা জেতার পরে উল্লাস পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমের। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের ৩২ বছরের পদকের খরা কাটিয়েছেন তিনি। প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছেন আরশাদ নাদিম। কিন্তু তিনি বাদে পাকিস্তানের কোনও খেলোয়াড় পদক জিততে পারেননি। আরশাদ মনে করেন, পাকিস্তানের মহিলা খেলোয়াড়েরা ঠিক মতো পরিকাঠামো পান না। নইলে আরও পদক জিততে পারতেন তাঁরা। অলিম্পিক্স শেষে পাকিস্তানে ফিরে সে দেশের মহিলা খেলোয়াড়দের পরিকাঠামো নিয়ে সরব হলেন আরশাদ।
পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমে আরশাদ বলেন, “আমাদের মহিলা খেলোয়াড়দের জন্য ভাল পরিকাঠামোর খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাদের ঠিক মতো তৈরি করতে হবে। খেলাধুলোর ভাল পরিকাঠামোর পাশাপাশি পড়াশোনার উন্নতিরও প্রয়োজন।”
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভাল পারফর্ম করতে পারেননি আরশাদ। তাই প্যারিসে নামার আগে চিন্তায় ছিলেন তিনি। আরশাদ বলেন, “প্যারিসে গিয়ে তিন-চার রাত ঘুমোতে পারিনি। খুব চিন্তা হত। একটাই প্রার্থনা করতাম, ফাইনালের আগে যেন চোট না লাগে। দেশের হয়ে সোনা জেতার স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।”
দেশে ফেরার পরে সরকারের কাছে পুরস্কার পেয়েছেন আরশাদ। তাঁকে সাড়ে ৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। একটি গাড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি তাঁর শ্বশুর তাঁকে একটি ষাঁড় উপহার দিয়েছেন। শ্বশুরের উপহার নিয়ে মজা করেছেন আরশাদ। তিনি বলেন, “আমিও অবাক হয়ে গিয়েছি। আমার শ্বশুর খুব বড়লোক। ভেবেছিলাম তিন-চার একর জমি আমাকে দেবেন। তা না দিয়ে একটা ষাঁড় দিলেন।” এ কথা বলে হেসে ফেলেন আরশাদ। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রাশিদাও ছিলেন। স্বামীর কথা শুনে হেসে ফেলেন তিনিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy