পরামর্শ: প্রস্তুতির ফাঁকে রফিককে বোঝাচ্ছেন চিমা। ছবি এসসি ইস্টবেঙ্গল।
এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের সেরা অস্ত্রই শুধু তিনি নন, দলের ‘মেন্টর’-ও! সতীর্থদের মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন ড্যানিয়েল চিমা।
মলডে এফসির হয়ে ২০১১, ২০১২ ও ২০১৪ সালে নরওয়ের প্রথম ডিভিশন লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চিমা। এর মধ্যে দু’বারই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার ওয়ে গুন্নার সোলসারের কোচিংয়ে। ২০১৩ সালে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হন তিনি। এ ছাড়াও দু’বার জিতেছেন নরওয়েজিয়ান কাপ। লাল-হলুদে সইয়ের পরেই ৩০ বছর বয়সি নাইজিরীয় স্ট্রাইকার জানিয়েছিলেন, তাঁর অভিজ্ঞতা সতীর্থদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান। এই মুহূর্তে সেটাই করছেন চিমা। অনুশীলন চলাকালীনই শুধু মহম্মদ রফিকদের পরামর্শ দিচ্ছেন না, প্রাতরাশ থেকে নৈশভোজ— যখনই সময় পাচ্ছেন, সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলছেন।
কী বলছেন নতুন চিমা? লাল-হলুদের অন্দরমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, কোচ ম্যানুয়েল দিয়াসের রণনীতি অনুযায়ী কী ভাবে খেলতে হবে, অনুশীলনে তা বুঝিয়ে দেন ফুটবলারদের। কারও ভুলভ্রান্তি হলে তা কী ভাবে শুধরে নিতে হবে, সেই পরামর্শও দিচ্ছেন তিনি। মাঠের বাইরে চিমা ব্যস্ত থাকছেন সতীর্থদের মানসিকভাবে আরও
শক্তিশালী করে তুলতে।
মুগ্ধ লাল-হলুদের ফুটবলাররা বলছিলেন, ‘‘নরওয়েতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের লিগে তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চিমা। এক বার সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিল। এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য প্রচণ্ড মানসিক শক্তি প্রয়োজন। কী ভাবে তা বাড়াতে হয়, সেই পরামর্শই ও দিচ্ছে।’’ মানসিক শক্তি বাড়াতে চিমার দাওয়াই কী? জানা গিয়েছে, সতীর্থদের তিনি বলছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানো চলবে না। প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, ভয় পেলে চলবে না। মাঠে নেমে নিজেকেই সেরা ভাবতে হবে। এখানেই শেষ নয়। সতীর্থদের নিজেদের সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দিয়েছেন নাইজিরীয় তারকা। চিমা মনে করেন, অনেক ফুটবলারই কোথায় সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারেন, কিন্তু তা কোচ বা সতীর্থদের খোলাখুলি বলতে পারেন না। এর ফলে তাঁদের মনের উপরে প্রবল চাপ পড়ে। আত্মবিশ্বাস কমে গিয়ে অবসাদ গ্রাস করে। এ অবস্থায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকেরই নিজের সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত জরুরি। এতে চাপ কমে যায়।
চোখের সমস্যার জন্য মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে আগের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে পারেননি চিমা। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। ২১ নভেম্বর জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া চিমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy