ভরসা: সন্দেশ ফেরায় স্বস্তি ভারতীয় দলে। এআইএফএফ।
কুয়েতের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। সন্দেশ জিঙ্ঘনহীন ভারতীয় দলের রক্ষণ লেবাননের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়েছিল। গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু বলেছিলেন, ‘‘সন্দেশ না থাকায় বেশ কয়েকবার আমাদের রক্ষণ নড়বড়ে দেখিয়েছিল।’’ আজ, মঙ্গলবার কুয়েতের বিরুদ্ধে ফাইনালে দলে ফিরছেন এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। সন্দেশের উপরেই মূলত দায়িত্ব থাকবে সাবাইব আলখালদি, আল ব্লাউসিদের আটকানোর।
লেবাননের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের দিন গ্যালারিতে বসে উত্তেজনায় ছটফট করছিলেন সন্দেশ। ভারত টাইব্রেকারে ৪-২ জিততেই তিনি মাঠে আনন্দে কোলে উঠে পড়েছিলেন গুরপ্রীতের। কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে সহকারী কোচ মহেশ গাউলির পাশে বসে সন্দেশ বলছিলেন, ‘‘সেমিফাইনাল খেলতে পারিনি। তবে লেবাননকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এখন মাঠে নামার জন্য ছটফট করছি।’’
ফিফা ক্রমতালিকায় পিছিয়ে থাকা কুয়েতের বিরুদ্ধে ভারতের সাফল্যের হার রীতিমতো উদ্বেগজনক। সন্দেশ যদিও তা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। তিনি বলে দিলেন, ‘‘ফাইনালের প্রস্তুতি আগেই শুরু করে দিয়েছি। কুয়েতের উপরেই মনঃসংযোগ করছি। কারণ, শেষ আট-দশটি ম্যাচের মধ্যে ওরাই সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল আমাদের। প্রার্থনা করছি, এই ম্যাচটা জিতে আমরা যেন সকলের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।’’
গত দশটি ম্যাচে মাত্র একটি গোল খেয়েছে ভারতীয় দল। এর জন্য প্রাক্তন ডিফেন্ডার ও সহকারী কোচ মহেশ গাউলিকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন সন্দেশ। তাঁর কথায়, “মহেশ ভাই দেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ছিলেন। আমরা ওঁকে দেখেই বড় হয়েছি। মহেশ ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ শিবির করে আমরা দারুণ ভাবেই উপকৃত হয়েছি।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের রক্ষণ যে এত প্রশংসিত হচ্ছে, তার কৃতিত্ব অনেকটাই মহেশ ভাইয়ের। সব সময় প্রতিটি অনুশীলনে ওঁর পরামর্শ ও সাহায্য আমাদের ভীষণ ভাবে কাজে লাগছে। আমাদের মধ্যে থেকে সেরা খেলাটা বার করে আনছেন মহেশ ভাই।’’
সন্দেশ উচ্ছ্বসিত প্রধান কোচ ইগর স্তিমাচকে নিয়েও। বলেছেন, ‘‘ইগর জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমাদের তিন বার দীর্ঘ মেয়াদী শিবির হয়েছে। তার উপকার আমরা পাচ্ছি। আমাদের পাশাপাশি দেশের সকলেই উপভোগ করছে ভারতীয় দলের খেলা। ব্যক্তিগত ভাবে সবসময়ই আমি দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি শিবিরের পক্ষে।’’ ভারতীয় তারকা আরও বলেছেন, ‘‘জাতীয় দলে খেলার জন্য শারীরিক সক্ষমতা আইএসএলের চেয়েও অনেক উপরে থাকা দরকার। কারণ, আন্তর্জাতিক ম্যাচের মান সব সময়ই অনেক উঁচুতে থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy