রবার্ট লেয়নডস্কি। —ফাইল চিত্র।
বুন্দেশলিগা
বায়ার্ন মিউনিখ ৪ উলফসবার্গ ০
কিংবদন্তি জার্ড মুলারের আরও এক কীর্তি ম্লান করে দিলেন রবার্ট লেয়নডস্কি। সেটা হল বুন্দেশলিগায় এক বছরে সবচেয়ে বেশি গোলের নজির। মুলার করেছিলেন ৪২টি গোল। যে নজির পোলান্ডের তারকা আগের ম্যাচেই স্পর্শ করেন। শুক্রবার সে রেকর্ড তিনি ভেঙেও দিলেন। বায়ার্ন ৪-০ হারাল উলফসবার্গকে। যার একটি গোল লেয়নডস্কির (৮৭ মিনিটে)। অন্য তিন গোলদাতা থোমাস মুলার (৭ মিনিট), দায়োত উপামেকানো (৫৭ মিনিট) ও লেরয় সানে (৫৯ মিনিট)।
শুক্রবার থোমাস মুলার বুন্দেশলিগায় নিজের ৪০০তম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন খেলার সাত মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়ে। উপামেকানোও তাঁর গোলটি করেন মুলারের ক্রস থেকে হেডে। দ্বিতীয় গোলের দু’মিনিট পরেই ৩-০ করেন সানে। বক্সের কোণা থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে।
লেয়নডস্কির গোলটি যথারীতি খুব কাছ থেকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে। যা একই সঙ্গে নতুন নজিরও সৃষ্টি করল। মে মাসে তিনি মুলারের ৪৯ বছরের পুরনো রেকর্ডও ভেঙে দেন। সেটা এক মরসুমে সর্বোচ্চ গোলের নজির। এমনিতে পোলান্ডের তারকা শুক্রবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর এক বছরে সমস্ত প্রতিযোগিতা মিলে ৬৯ গোলের রেকর্ডও স্পর্শ করলেন।
জার্মান প্রচারমাধ্যম ম্যাচের পরে যথারীতি লেয়নডস্কিকে বালঁ দ্যর না দেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলেছে। তাদের বক্তব্য, বায়ার্ন স্ট্রাইকার আবার বুঝিয়ে দিলেন লিয়োনেল মেসিকে এ বারের পুরস্কার দেওয়া কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল! শুক্রবারের জয়ে শীর্ষে থাকা বায়ার্ন বুন্দেশলিগার পয়েন্ট টেবলে দ্বিতীয় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের থেকে ন’পয়েন্ট এগিয়ে গেল।এ দিকে সেরি আ-তে শুক্রবার ইন্টার মিলান ৫-০ হারিয়ে দিয়েছে সালেরনিটানাকে। পাঁচটি গোল করলেন ইভান পেরিসিচ (১১ মিনিট), ড্যানজ়েল ডামফ্রাইস (৩৩ মিনিট), আলেক্সিস স্যাঞ্চেস (৫২ মিনিট), লাউতারো মার্তিনেজ় (৭৭ মিনিট) ও রবের্তো গাগলিয়ার্দিনি (৮৭ মিনিট)। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার সেরি আ টেবলে এ বারও শীর্ষে রয়েছে। তাদের পয়েন্ট ৪৩ (১৮ ম্যাচে)। দ্বিতীয় স্থানে আছে এসি মিলান। একটা ম্যাচ কম খেলে জ়্লাটান ইব্রাহিমোভিচদের পয়েন্ট ৩৯। রবিবার এসি মিলান খেলবে নাপোলির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পুরনো ক্লাব জুভেন্টাস এখন রয়েছে সাত নম্বরে। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৮। ইন্টার মিলান আবার শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছে, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের সঙ্গে তারা চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেনমার্কের এই ফুটবলারের সম্মতিতেই সেটা করা হয়েছে। জুনে ইউরো কাপে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের মধ্যেই এরিকসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর সমস্যা বেশ জটিল। সম্ভবত আর কোনওদিন মাঠেও ফিরতে পারবেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy