রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। প্রত্যাবর্তন বার্সেলোনার।
দু’টি বাক্যে এটাই লা লিগায় শনিবার বার্সেলোনা বনাম সেল্টা ভিগোর ম্যাচের কাহিনি। সাত গোলের ম্যাচে পিছিয়ে থেকে সংযুক্ত সময়ের একেবারে শেষে রাফিনহার পেনাল্টিতে জয় তুলে নিল বার্সেলোনা। হ্যাটট্রিক করেও পরাজিত নায়ক হয়ে মাঠ ছাড়লেন বোরখা ইগলেসিয়াস।
১১ মিনিটের মাথায় ১-০ করেন ফেরান তোরেস। বল পেয়ে সামনের দিকে অনেকটা দৌড়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান তোরেস। চার মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় বার্সা। প্রতিআক্রমণে ডান দিক থেকে মাপা ক্রসে সমতা ফেরান বোরখা ইগলেসিয়াস। তিনি লা লিগায় ষষ্ঠ গোল করলেন।
সারা ম্যাচ জুড়েই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন রবার্ট লেয়নডস্কিরা। কিন্তু বারবার ত্রাসের সৃষ্টি করে গিয়েছে সেল্টা ভিগো। তাঁরা মোট শট নেন ১৮টি। যার মধ্যে গোল লক্ষ্য করে ছিল ৬টি। অন্য দিকে সেল্টা ভিগোর নেওয়া ১১ শটের মধ্যে গোলমুখী ছিল ৮টি। ৪৩ মিনিটে দু’বার নিশ্চিত গোল বাঁচান বার্সার গোলরক্ষক সেজ়নি। প্রথামর্ধে আর গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫২ মিনিটের মাথায় ২-১ করেন বোরখা। ডান দিক থেকে বল নিয়ে উঠে দূরের পোস্টের গা ঘেঁষে বল রাখেন তিনি। সাত মিনিট পরে ফের বোরখার শট বাঁচান বার্সা গোলরক্ষক। ৬২ মিনিটে আর একটি প্রতিআক্রমণ থেকে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন বোরখা। তখন হয়তো আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সেল্টা ভিগোর সমর্থকরা। কারণ তখন জয়ের আশায় তাঁরা উৎসব শুরু করে দিয়েছেন।
কিন্তু তখনও ম্যাচের নাটক বাকি ছিল। পরিবর্ত হিসেবে নামা ইয়ামাল এবং ওলমো পটপরিবর্তন ঘটান। দু’মিনিটের মাথায় রাফিনহার পাস থেকে ব্যবধান কমান দানি ওলমো। এর পরে পুরোটাই রাফিনহাময়। ৬৮ মিনিটের মাথায় লামিনে ইয়ামালের মাপা ক্রস থেকে হেড দিয়ে সমতা ফেরান রাফিনহা। সমতা ফিরিয়েই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সা। একের পর এক সুযোগ তৈরি হলেও গোল হচ্ছিল না।
তখন শুধুমাত্র অপেক্ষা ছিল খেলা শেষের বাঁশি বাজার। ওলমোকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ডিফেন্ডার ইয়োয়েল লাগো। ভারের সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে ঠান্ডা মাথায় বার্সার জয় নিশ্চিত করেন রাফিনহা। ৩২ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের (৬৬) তুলানয় সাত পয়েন্টে এগিয়ে রইল বার্সেলোনা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)