ফুরফুরে: বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রস্তুতির ফাঁকে মেসি। ছবি রয়টার্স।
রোসারিয়োর লাস হেরাস স্কুলে তিন বছর তিনি পড়িয়েছিলেন ছোট্ট লিয়োকে। সে দিনের লাজুক শিশু আজ বিশ্বফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব। ষাটোর্ধ্ব শিক্ষিকা মনিকা ডোমিনা প্রিয় প্রাক্তন ছাত্রের কাছে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরার আর্তি জানালেন।
আর্জেন্টিনার এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনিকা বলেছেন, ‘‘ওর শিক্ষিকা হওয়ার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। এবং একই সঙ্গে একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে মেসির মঙ্গলও কামনা করি।’’
সেখানেই থেমে থাকেননি মনিকা। প্রাক্তন ছাত্রকে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে পাঠিয়েছেন একটি চিঠি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘তোমার হয়তো আমাকে আর মনে নেই। কিন্তু শিক্ষিকা হিসেবে সমস্ত ছাত্রদের মতো তোমাকে আমি এখনও মনে রেখেছি। তোমার সাফল্য আমাকেও গর্বিত করে। সবচেয়ে ভাল লাগে এটা দেখে যে, আগের মতোই তুমি মুখচোরাই রয়ে গিয়েছ।’’
চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘তোমার মতো অনিন্দ্যসুন্দর, শান্ত, অনুভূতিসম্পন্ন মানুষ দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। এ বার জানাই আমার একটা আব্দার। তোমার হাতে কাপ দেখার অধীর প্রতীক্ষায় রয়েছি। ওটা নিয়েই দেশে ফিরো। এ বার বিশ্বকাপ খুবই দরকার আমাদের। তোমারও। আশা করি, প্রাক্তন শিক্ষিকার সেই স্বপ্ন তুমি এ বার অবশ্যই পূরণ করবে। মনে রেখো, ঈশ্বর তোমার সঙ্গেই রয়েছেন। আর রয়েছে আমাদের আশীর্বাদ।’’
মনিকার মতো মেসির হাতে কাপ দেখার প্রতীক্ষায় রয়েছেন গ্রিসের টেনিস তারকা স্টেফানোস চিচিপাস। তিনি বলেছেন, ‘‘লিয়ো এই পৃথিবীর বিস্ময়-মানবদের অন্যতম। ওর হাতে কাপ না উঠলে বিশ্বকাপের ইতিহাসও অপূর্ণ থেকে যাবে। লিয়ো, বিশ্বকাপ জিতেই আর্জেন্টিনায় ফিরো। আমরাও সেই মুহূর্তের সাক্ষী হতে চাই।’’ মেসের দেশেরই প্রাক্তন মহিলা টেনিস তারকা গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনি বলেছেন, ‘‘এ বার প্রতীক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। লিয়োর হাতেই বিশ্বকাপ উঠতে চলেছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি ওর পথে বাধা হয়ে উঠতে পারবে না। ও সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে কাতারে। ফ্রান্সকে হারিয়েই আর্জেন্টিনা আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy