মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো। ছবি: এক্স।
আবার হার। পর পর তিন ম্যাচে হেরে গেল মোহনবাগান। চাপ বাড়ছে ফেরান্দোর দলের। বুধবার কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হেরে গেল সবুজ-মেরুন দল। ৯ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দিমিত্রস ডায়ামনটাকস। সেই গোলেই ম্যাচ জিতল কেরল।
মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল। পরের ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে হারতে হয় ১-৪ গোলে। বুধবার ঘরের মাঠে আবার হার বাগানের। আইএসএলের মাঝপথে হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলল পালতোলা নৌকা। বুধবার কেরলের বিরুদ্ধে একাধিক মিস পাস এবং গোলের সামনে গিয়ে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করার মাসুল দিতে হল। ৯ মিনিটের মাথায় চোখ ধাঁধানো গোলে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কেরলের ডায়ামনটাকস। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি বাগান।
কেরলের বিরুদ্ধে ৪-২-৩-১ ছকে দলে সাজিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। চোট পাওয়া ব্রেন্ডন হামিলের অভাব ঢাকতে এ দিন চার ডিফেন্ডার নিয়ে নেমেছিল বাগান। হেক্তর ইউতসের সঙ্গে শুভাশিস বসু ছিলেন মাঝ খানে। দু'পাশে ছিলেন আশিস রাই এবং সুমিত রাঠি। কিন্তু সেই রক্ষণের মধ্যে একের পর এক ফাঁক খুঁজে নিলেন কেরলের ফুটবলারেরা।
গত মরসুমে মোহনবাগানকে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক প্রীতম কোটাল এ বার কেরলে। পুরনো দলের বিরুদ্ধে নিজেকে উজাড় করে দিলেন প্রীতম। মনে করা হয় মোহনবাগান ছাড়তে চাননি তিনি। এক প্রকার জোর করেই ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রাক্তন বাগানি প্রবীর দাশও কেরলে। তাঁকে যদিও এই ম্যাচে শুরু থেকে নামানো হয়নি। যুবভারতীতে খেলতে এসে কি জবাব দিয়ে গেলেন প্রীতম এবং প্রবীর?
মুম্বই সিটি এফসি ও এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে হারের পর থেকেই সমর্থকদের ক্ষোভ নজরে পড়েছিল। ফেরান্দোর বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ চিৎকার শোনা গিয়েছিল। কেরলের বিরুদ্ধে হারের পর সেই ক্ষোভ যে আরও জোরালো হবে তা বলাই যায়। যদিও ফেরান্দোর হাতে একাধিক অস্ত্র নেই। চোটের কারণে প্রথম একাদশে একাধিক ফুটবলার নেই। সমর্থকেরা কবেই বা এই সব শুনেছেন। তাঁরা প্রিয় দলের জয় দেখতে মাঠে আসেন। গত তিন ম্যাচে সেটা দিতে পারেননি ফেরান্দো।
হার দিয়ে বছর শেষ করল মোহনবাগান। লিগ তালিকায় তারা পাঁচ নম্বরে। মোহনবাগানকে হারিয়ে শীর্ষে উঠল কেরল। ১২ ম্যাচে তারা পেয়েছে ২৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গোয়া ৯ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়েছে। ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ওড়িশা এফসি। মুম্বই সিটি এফসি ১০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে। একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গোলপার্থক্যে পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে বাগান। ইস্টবেঙ্গল রয়েছে সপ্তম স্থানে। ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। শেষ তিন ম্যাচে জয় নেই তাদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy