মোহনবাগানের দুই গোলদাতা শুভাশিস বসু এবং মনবীর সিংহ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
মোহনবাগান - ২ (মনবীর, শুভাশিস)
হায়দরাবাদ এফসি- ০
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চতুর্থ জয় পেল মোহনবাগান। প্রতিযোগিতায় নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারাল সবুজ-মেরুন শিবির। অ্যাওয়ে ম্যাচে এই জয়ের ফলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল হোসে মোলিনার দল।
ডার্বিজয়ের ১১ দিন পর একই ছন্দে দেখা গেল শুভাশিস বসু, মনবীর সিংহদের। ডার্বি জয়ের পর অনেক সময় বড় ক্লাবের ফুটবলারদের মধ্যে শিথিলতা দেখা যায়। পেশাদার ফুটবলে অবশ্য এমন মানসিকতার জায়গা নেই। মোলিনার ফুটবলারদের মধ্যেও তেমন কোনও শিথিলতা দেখা যায়নি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ বিরতিও ছন্দ নষ্ট করেনি সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের।
আগের ম্যাচেই মহমেডান স্পোর্টিংকে ৪ গোল দেওয়া হায়দরাবাদকে বুধবার মোহনবাগানের সামনে বিপজ্জনক মনে হয়নি। প্রথম থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলেন অনিরুদ্ধ থাপা, জেমি ম্যাকলারেন, গ্রেগ স্টুয়ার্টেরা। অধিকাংশ সময় তাঁরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই বল রেখেছিলেন। দুই উইং ব্যবহার করে একের পর এক আক্রমণ তৈরি করেছেন মোহন ফুটবলারেরা। যদিও ম্যাচের ৪ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে হায়দরাবাদ। প্রথম দিকে মোহন রক্ষণে চাপ তৈরির চেষ্টা করেন তাঁরা। তাতে লাভ হয়নি। সতর্ক ছিলেন মোহনবাগান ফুটবলারেরা। ১৯ মিনিটের মাথায় স্টুয়ার্টের কাছ থেকে প্রতিপক্ষের বক্সে বল পান মনবীর। গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। যদিও ৩৭ মিনিটে তিনিই এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অনিরুদ্ধ। সুযোগ সন্ধানী মনবীর বল পেয়ে গোল করেন। এর আগে ৩০ মিনিটে হায়দরাবাদের গডার্ডের শট অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে চলে যায়। না হলে আয়োজকেরা এগিয়ে যেতে পারত। ৪৩ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মনবীরও।
১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রেসিং ফুটবল থেকে সরেননি মোলিনার ফুটবলারেরা। ৫০ মিনিটে হায়দরাবাদের রক্ষণের ভুলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাহাল সামাদ। দ্বিতীয় গোলের জন্য অবশ্য মোহনবাগানকে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৫৫ মিনিটের মাথায় গ্রেগ স্টুয়ার্টের নেওয়া ফ্রিকিক থেকে হায়দরাবাদ বক্সে বল পান মোহন অধিনায়ক শুভাশিস। হেড দিয়ে গোল করেন তিনি। মিনিট দুয়েক পরই ব্যবধান কমানোর সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদের অ্যালেন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। ৬৫ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রেতোস এবং লিস্টন কোলাসোকে নামান মোলিনা। শেষ দিকে জেসন কামিন্সকেও নামান মোহন কোচ। তাতেও ব্যবধান আর বাড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy