মাঝে কয়েক দিনের ব্যবধান। প্যারিস সঁ জরমেঁ কাটানো অধ্যায় নিয়ে আবার মুখ খুললেন লিয়োনেল মেসি। ফরাসি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বর্ণনা করেছেন, কী ভাবে শুরুর দিকে তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছিল। কিছু দিন আগে পিএসজি সমর্থকদের আচরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন মেসি।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী পিএসজি-তে যোগ দেন ২০২১ সালে। ১৭ বছর বার্সেলোনায় কাটানোর পর প্যারিসের ক্লাবে তাঁর যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল উচ্ছ্বাস। তবে যতটা সহজ মনে হয়েছিল, পরিস্থিতি শুরুর দিকে ততটা ভাল ছিল না। নতুন পরিকল্পনা, নতুন রণকৌশল, সবচেয়ে বড় ব্যাপার, নতুন দেশে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা কঠিন ছিল।
মেসি বলেছেন, “দেরি করে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম। কোনও প্রাক মরসুম প্রস্তুতির সুযোগ পাইনি। তাই শুরুর দিকটা আমার কাছে খুবই কঠিন ছিল। আমার পরিবারকেও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।”
সে বছর কোপা আমেরিকা থাকার কারণে নতুন ক্লাবে মেসির যোগ দিতে দেরি হয়। আর্জেন্টিনাকে কোপা জিতিয়েছিলেন তিনি। তার পরে শীতকালীন বিরতিতে কোভিডে আক্রান্ত হন। ফলে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া আবার বাধা পায়। মেসি বলেছেন, “শারীরিক ছন্দ খুঁজে পেতে তখন অনেক সময় লেগেছিল আমার।”
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই মেসি আরও বেশি বিদ্রূপের শিকার হন। কিছু ফরাসিপ্রেমী কোনও ভাবেই দেশের হার মেনে নিতে পারেননি। মেসি বিশ্বকাপ জেতায় যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাঁর উপরেই।
মেসি দু’দিন আগে বলেন, “প্রথম প্রথম প্যারিসের লোকজনদের ভালই লাগত। আমাকে উৎসাহ দিতেন ওঁরা। তার পর হঠাৎ করেই এক অংশের লোকের আচরণ বদলে যায়। আমার সঙ্গে অন্য রকম আচরণ শুরু করেন ওঁরা। এটা স্রেফ একটা অংশের সমর্থকদের কাণ্ড ছিল। বেশির ভাগ সমর্থকই আমাকে ভালবাসতেন। প্যারিসের সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে পরিষ্কার একটা বিভাজন ছিল।”
মেসি যোগ করেন, “আমি চাইনি কোনও বিভাজন থাকুক। কিন্তু আগে এমবাপে এবং নেমারের সঙ্গেও একই কাজ করেছেন ওঁরা। এটাই ওঁদের স্বাভাবিক আচরণ। তবু এর মধ্যেও যাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন তাঁদের ভুলব না। প্রথম থেকেই ওঁরা আমার পাশে ছিলেন।”