Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
UCL Final

রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য সিটি, সামনে ইন্টার

ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে পেপ গুয়ার্দিওলার দল ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদকে। জোড়া গোল বের্নার্দো সিলভার। ২৩ ও ৩৭ মিনিটে।

An image of Lautaro Martinez

উল্লাস: সিটির প্রথম গোলের পরে হালান্ডের সঙ্গে সিলভা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ০৮:৫০
Share: Save:

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে পিছিয়ে গেলেও ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন কেভিন দ্য ব্রুইন। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে দেখা গেল একেবারে উল্টো ছবি। ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে পেপ গুয়ার্দিওলার দল ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদকে। জোড়া গোল বের্নার্দো সিলভার। ২৩ ও ৩৭ মিনিটে। ৭৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন মিলিতাও। সংযুক্ত সময়ে দলের চতুর্থ গোল আলভারেজ়ের। দুই পর্ব মিলিয়ে সিটি জিতল ৫-১। ফাইনালে হালান্ডদের সামনে ইন্টার মিলান।

এক দশকেরও বেশি সময় পরে ইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে উঠল। প্রথম পর্বে ২-০ গোলে জয়ের পরে মঙ্গলবারও তারা ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারাল। ৭৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস। রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে দ্রুত কয়েকটি পাস খেলেজোরালো গোল করে ফাইনালের ছাড়পত্র তিনি নিশ্চিত করে দেন। দুই পর্ব মিলিয়ে সিমোনে ইনজ়াঘির দল ৩-০ ফলে জিতল।

দলকে ফাইনালে তোলার পরে উল্লসিত ম্যানেজার ইনজ়াঘি বলেছেন, ‘‘মনে পড়ে যাচ্ছে ১৯ মাস আগের একটা ঘটনার কথা। ক্লাবের কর্তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, দল কি শেষ ষোলো পর্বে পৌঁছতে পারবে! আমি অবশ্য ইতিবাচক মন নিয়েই সেই মন্তব্য গ্রহণ করেছিলাম। মনে হয়েছিল, নিবিড় পরিশ্রমের মাধ্যমে ইন্টার সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে ফেলা সম্ভব। সেটাই হল।’’

২০১০ সালে জোসে মোরিনহোর প্রশিক্ষণে শেষ বার ইউরোপ সেরা হয়েছিল ইন্টার। শুধু তাই নয় সেই মরসুমে তারা সেরি আ এবং ইটালীয় কাপ জিতে ত্রিমুকুটও পেয়েছিল। ম্যাচের নায়ক মার্তিনেস তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন জাতীয় দলে তাঁর সতীর্থ লিয়ো মেসিকে। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের সময় লিয়ো আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বলেছিল, কী ভাবে নিজের খেলাকে আরও তীক্ষ্ণ করে তুলতে হবে। ক্লাবের হয়ে সেই চেষ্টা করে চলেছি। আমি ওর কাছেই বরাবর কৃতজ্ঞ থাকব।’’

এক দশকেরও বেশি সময় পরে ইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে উঠল। প্রথম পর্বে ২-০ গোলে জয়ের পরে মঙ্গলবারও তারা ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারাল।

৭৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস। রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে দ্রুত কয়েকটি পাস খেলে জোরালো গোল করে ফাইনালের ছাড়পত্র তিনি নিশ্চিত করে দেন। দুই পর্ব মিলিয়ে সিমোনে ইনজ়াঘির দল ৩-০ ফলে জিতল।

দলকে ফাইনালে তোলার পরে উল্লসিত ম্যানেজার ইনজ়াঘি বলেছেন, ‘‘আমার মনে পড়ে যাচ্ছে ১৯ মাস আগের একটা ঘটনা। ক্লাবের কর্তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, দল কি শেষ ষোলো পর্বে পৌঁছতে পারবে! আমি অবশ্য ইতিবাচক মন নিয়েই সেই মন্তব্য গ্রহণ করেছিলাম। মনে হয়েছিল, নিবিড় পরিশ্রমের মাধ্যমে ইন্টার সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে ফেলা সম্ভব। সেটাই হল।’’

২০১০ সালে জোসে মোরিনহোর প্রশিক্ষণে শেষ বার ইউরোপ সেরা হয়েছিল ইন্টার। শুধু তাই নয়, সেই মরসুমে তারা সেরি আ এবং ইটালীয় কাপ জিতে ত্রিমুকুটও পেয়েছিল। অভিভূত ইনজ়াঘি বলেছেন, ‘‘পুরো মরসুম জুড়ে ইন্টার মিলানের ফুটবলাররা যে মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তার জন্য আমি গর্বিত।’’

ম্যাচের নায়ক মার্তিনেস তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন জাতীয় দলে তাঁর সতীর্থ লিয়ো মেসিকে।তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের সময় লিয়ো আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বলেছিুল, কী ভাবে নিজের খেলাকে আরও তীক্ষ্ণ করে তুলতে হবে। ক্লাবের হয়ে সেই চেষ্টা করে চলেছি। আমি ওর কাছেই বরাবর কৃতজ্ঞ থাকব।’’ যোগ করেন, ‘‘অধিনায়ক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ওঠাও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’

এসি মিলান মঙ্গলবার মরিয়া লড়াই করে। কিন্তু সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে তাদের ছিটকে যেতে হল। ব্রাহিম দিয়াজ়ের শট রুখে দেন ইন্টারের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার হাতে তুলে দেন। এসি মিলানের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রাফায়েল লিয়াও ম্যাচের ফলে কোনও পরিবর্তন করতে পারেননি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মুখে অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয় তাঁর শট।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy