পেনাল্টি থেকে মির্জালোল কাসিমোভের গোল করার সেই মুহূর্ত। ছবি: সমাজমাধ্যম।
শনিবার ছিল দুই প্রধানের খেলা। যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দেয় সবুজ-মেরুন। রবিবার খেলতে নেমেছিল মহমেডান। প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স। সেই ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গেলেও হারতে হল সাদা-কালো ব্রিগেডকে। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ১-২ গোলে হার মহমেডানের। সমর্থকদের কারণে কিছু ক্ষণ বন্ধ রাখতে হল খেলা।
কলকাতার তৃতীয় প্রধানের হয়ে গোলটি করেছিলেন মির্জালোল কাসিমোভ। ২৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কেরলের গোলরক্ষক সোম কুমার টেনে আটকান ফ্র্যাঙ্কাকে। তাতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় মহমেডান। গোল করতে ভুল করেননি কাসিমোভ। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল মহমেডান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল ধরে রাখতে পারল না তারা।
৬৭ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে মহমেডান। নোহা সাদোই বক্সের মধ্যে বল পাঠান। সেই বল ধরে গোল করতে ভুল করেননি কোয়ামে পেপরাহ। মহমেডান রক্ষণ তখন নড়বড় করতে শুরু করেছে। ৭১ মিনিটে মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন নোহা নিজেই। কিন্তু মরক্কোর ফুটবলার বলটি জালে জড়াতে পারেননি। তবে জয়ের গোল পেতে মহমেডানকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি।
৭৫ মিনিটে কেরলের হয়ে গোল করেন জেসুস জিমিনেজ। হেডে গোল করেন তিনি। তার পরেই শুরু হয় গণ্ডগোল। মহমেডান সমর্থকেরা মাঠে বোতল ছুড়তে শুরু করেন। যে কারণে কিছু ক্ষণ খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন রেফারি। প্রায় ৮ মিনিট খেলা বন্ধ রাখার পর ম্যাচ শুরু করেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়েছিল। যদিও মহমেডান গোল করতে পারেনি।
পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় এগারো নম্বরে মহমেডান। ম্যাচের শেষ দিকে গোল খাওয়ার রোগ সারেনি তাঁদের। আগেও শেষ দিকে গোল খেয়ে ম্যাচ হারতে হয়েছে মহমেডানকে। যে হার সমর্থকেরা মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। কেরল পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy