আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এটিকে মোহনবাগান। ছবি: টুইটার।
আইএসএল জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রীতম কোটালের। শনিবার চতুর্থ বার আইএলএস ফাইনাল খেলতে নামবেন এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে খেলবেন দ্বিতীয় বার। লক্ষ্য তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাসী প্রীতম।
মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল জেতার স্বপ্ন নিয়ে শনিবার মাঠে নামবেন প্রীতম। সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। ফাইনালের আগে আইএসএলের ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রীতম। মোহনবাগান অধিনায়কের দাবি, দলগত সংহতিই তাঁদের প্রধান শক্তি। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘তিন বার ফাইনাল খেলে দু’বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব।’’
গোয়ার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও বাড়তি সমীহ করতে নারাজ প্রীতম। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। ফাইনাল ম্যাচ সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। দুটো দলই ভাল খেলছে। কলকাতায় ট্রফি নিয়ে ফেরার জন্য ১০০ শতাংশ চেষ্টা করব। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না আমরা। আশা করছি, ভাল খেলা হবে।’’
এক সময় পয়েন্ট তালিকায় ১০ নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু টানা ১১টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে নামছে। সুনীলদের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সবুজ-মেরুন অধিনায়ক। মেনে নিচ্ছেন প্রতিপক্ষের পাসিং ফুটবল শক্তিশালী। দলে একাধিক ভাল ফুটবলার রয়েছে। তবু বাড়তি সমীহ করতে চান না তিনি। আশাবাদী প্রীতম বলেছেন, ‘‘ওদের আক্রমণ খুব শক্তিশালী। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অন্য ম্যাচের মতো আমাদের উইং প্লে বজায় রাখতে হবে।’’
বেঙ্গালুরু দলে রয়েছেন তাঁর পাঁচ প্রাক্তন সতীর্থ। রয় কৃষ্ণ, প্রবীর দাস, সন্দেশ জিঙ্ঘান, হাভিয়ে হার্নান্ডেজ, জয়েশ রানে থাকবেন বিপক্ষে। প্রীতম বলেছেন, ‘‘ফুটবলে দল বদল হয়ই। প্রবীররা আগের মতো এখনও আমার ভাল বন্ধু। খেলা শুরু হলে এ সব মাথায় থাকে না। তখন সবাই জিততে চায়। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে চায়। খেলার ৯০ মিনিট কেউ বন্ধু নয়। খেলা শেষ হলে আমরা আবার বন্ধু।’’
আইএসএলে অভিষেক মরসুমেই ফাইনালে উঠেছিল মোহনবাগান। ২০২০-২১ মরসুমে শেষ রক্ষা হয়নি। ফাইনালে হারতে হয়েছিল মুম্বই সিটি এফসির কাছে। সেই আক্ষেপ এ বার ঘুচিয়ে ফেলতে চান সবুজ-মেরুন অধিনায়ক। এ বার মোহনবাগানের অন্যতম শক্তি রক্ষণ। গোলরক্ষক বিশাল কাইত প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন। দলের রক্ষণ ভাগের অন্যতম স্তম্ভ প্রীতম নিজেই। ১২টি ম্যাচে গোল খায়নি মোহনবাগান। আত্মবিশ্বাসী প্রীতম বলেছেন, ‘‘আমরা যে ভাবে রক্ষণ গুছিয়ে নিয়েছি, তাতে ফাইনালেও গোল খাব না আশা করছি। বিশালের অবদানও কম নয়। পিছন থেকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়। ওর প্রশংসা করতেই হবে। ফাইনালেও গোল না খেলে বিশাল একটা নজির তৈরি করবে। আমরা ওকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।’’
আইএসএল ফাইনালে সমর্থকদের পাশে চান প্রীতম। লক্ষ লক্ষ সমর্থকের শুভেচ্ছা, প্রার্থনা তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রীতম সমর্থকদের ভালবাসা, আবেগের মর্যাদা দিতে চান ট্রফি উপহার দিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy