আইএসএল জয়ী মোহনবাগানের রক্ষণের শেষ প্রহরী ছিলেন তিনি। গোলের সামনে একটা দুর্গই তৈরি করে দিয়েছিলেন বিশাল কাইত। তাঁর নিশ্ছিদ্র প্রহরা থেকে বল তো দূর, কার্যত মাছিও গলতে পারেনি। গোটা প্রতিযোগিতায় ১২টি ম্যাচে গোল খাননি। মোহনবাগানের ট্রফি জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে বিশালের। শহরে ফিরে বিশাল নিজের গোলকিপিং নিয়ে কথা বললেন।
প্রায় প্রতি ম্যাচে মোহনবাগানের হয়ে গোল বাঁচিয়েছেন। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে টাইব্রেকারে বিপক্ষের শট বাঁচিয়েছেন। সেই বিশাল বলেছেন, “সেমিফাইনালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টি সেভ করেছি। ফাইনালে সে ভাবে আমার কাছে বল আসেনি। তবে একটা ফ্রিকিক বাঁচিয়েছিলাম। তার পর টাইব্রেকারে শট বাঁচিয়েছি। আলাদা করে কোনওটাকেই এগিয়ে রাখতে চাই না। ট্রফি জিতেই আমি খুশি।”
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে শহরে ফিরেও সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে বিহ্বল বিশাল। বাসের জানলা দিয়ে তাঁকে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে। দর্শকদের দিকে তাকিয়ে হাতও নেড়েছেন। পরে বলেছেন, “সমর্থকদের পাগলামি দেখে খুব ভাল লেগেছে। বৃষ্টির জন্যে সবাই আসতে পারেনি। যাঁরা ছিল, তাঁরাই স্বাগত জানিয়েছে। খুব ভাল লাগছে। অন্য রকম অনুভূতি।”
আরও পড়ুন:
যাঁকে আদর্শ বলে মানেন, সেই গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু শনিবার উল্টো দিকে ছিলেন। তাঁকে হারানোর অনুভূতি কি আলাদা? বিশাল মানতে চাননি। বলেছেন, “গুরপ্রীতের সঙ্গে নিজের তুলনা করছি না। ফুটবল ম্যাচে কেউ একজন তো জিতবেই। আমরা জিতেছি মানেই ওদের হেয় করব, এমনটা নয়। একে অপরের থেকে শিখি।”
ট্রফি জয় গোটা দলকে উৎসর্গ করেছেন বিশাল। তবে জাতীয় দলে ডাক না পাওয়ার প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।