কী বললেন স্টিভন? ফাইল ছবি
ডুরান্ড কাপের কলকাতা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের ডাগআউটে তিনিই ছিলেন। দল লড়াই করেও হেরেছিল সেই ম্যাচে। শনিবার আবার একটা কলকাতা ডার্বি। স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনকে আরও এক বার ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসাবে ডাগআউটে দেখা যাবে। ডুরান্ডের সময় তিনি কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে চাননি। এ বার তিনি অনেক আত্মবিশ্বাসী। সাফ বলে দিলেন, অন্য ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে পাওয়া যাবে। এটিকে মোহনবাগানকে তাঁর দল মোটেই ভয় পাচ্ছে না। তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বেশ খুশির মেজাজেই পাওয়া গেল স্টিভনকে। ডার্বি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বললেন, “আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের থেকে অনেক ভাল হয়েছে আমাদের খেলা। এটা লিগের ম্যাচ। দুটো দলই তিন পয়েন্ট চায়। গত আট-ন’বার সাক্ষাতে মনে হয় ডার্বি জিতিনি। সেটা কাল রাতে শুধরে নিতে চাই। আশা করছি কঠিন ম্যাচ হবে। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানকে একেবারেই ভয় পাচ্ছি না। আমরা লড়াই করব।”
আলাদা করে এই ম্যাচের উপর জোর দিতে চাইলেন না স্টিভন। তাঁর কথায়, “সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা ডার্বি অবশ্যই ভারতীয় ফুটবলে সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এটিকে মোহনবাগান ভাল দল। ম্যাচ কঠিন হতে চলেছে। এই ম্যাচে ছন্দের কথা মাথায় রাখলে চলে না। আমাদের অনুশীলন ভালই হয়েছে। আশা করি নিজেদের প্রমাণ করতে পারব।”
ডুরান্ড কাপের সঙ্গে এই ডার্বিকে মিলিয়ে ফেলতে চাননি। সে বার সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারতে হলেও, আইএসএলের ডার্বি নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী স্টিভন। বলেছেন, “আবারও বলছি, ডুরান্ড কাপে আমরা যে চারটে ম্যাচ খেলেছি, সেগুলো আমাদের কাছে প্রদর্শনী ম্যাচ ছিল। আমাদের কোনও দলই ছিল না। মনে হয় প্রথম ম্যাচের আগে ১৮টা ম্যাচ ছিল। এ বার তিনটে লিগ ম্যাচ খেলেছি। দলও ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তাই আগে কী হয়েছে সেটা নিয়ে একেবারেই ভাবতে চাইছি না।”
আগের ম্যাচে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে কি দল আত্মবিশ্বাসী? স্টিভন মানলেন না। ইতিমধ্যেই ওই ম্যাচ ভুলে যেতে বলেছেন ফুটবলারদের। স্টিভনের কথায়, “নর্থ ইস্ট ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছি বলব না। জিতেছি সেটাই বড় কথা। তবে গোয়া এবং কেরল ম্যাচে বেশ কিছু সময়ে ভাল ফুটবল খেলেছি। কাল আমরা ৯০ মিনিটই ভাল খেলতে চাই। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ওদের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।”
স্টিভনের কাছে এটা দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি হলেও এই ম্যাচ সম্পর্কে তাঁর যথেষ্ট পড়াশোনা রয়েছে। বলেছেন, “কলকাতা ডার্বির অতীত সম্পর্কে ভালই জানি। একটা সময় স্টেডিয়ামের আয়তনের থেকে বেশি দর্শক আসত। অবিশ্বাস্য একটা পরিবেশ তৈরি হত। আর্সেনাল-টটেনহ্যাম, সেল্টিক-রেঞ্জার্স, মিলান ডার্বির সঙ্গে তুলনা করা যায় একে। নিঃসন্দেহে এটাই এশিয়ার সেরা ডার্বি ম্যাচ। ভাল হত যদি খেলোয়াড় হিসাবে খেলতে পারতাম। আশা করি কোচ হিসাবে জিততে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy