Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
ISL 2022-23

কার ভুলে হারতে হল দলকে, ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ

অনেক দিন পর কলকাতা ডার্বিতে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল শাসন করছে মোহনবাগানকে। এমনকি, ভাগ্য সঙ্গে থাকলে গোলও পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গোলকিপার কমলজিৎ সিংহের একটা ভুলই শেষ করে দিল সব।

হারের পর স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন যে কিছুটা যে হতাশ, সেটা তাঁর শরীরীভাষাতেই স্পষ্ট।

হারের পর স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন যে কিছুটা যে হতাশ, সেটা তাঁর শরীরীভাষাতেই স্পষ্ট। ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ০১:০০
Share: Save:

ম্যাচ শেষের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনকে কিছুটা বিষণ্ণ লাগল। হয়তো পুরোপুরি ভেঙে পড়েননি। কিন্তু কিছুটা যে হতাশ, সেটা তাঁর শরীরীভাষাতেই স্পষ্ট। হয়তো বিশ্বাসই করে উঠতে পারছিলেন না কী ভাবে তাঁর দল প্রথমার্ধে ভাল খেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ও ভাবে দুটো গোল খেল। অনেক দিন পর কলকাতা ডার্বিতে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল শাসন করছে মোহনবাগানকে। এমনকি, ভাগ্য সঙ্গে থাকলে গোলও পেয়ে যাওয়ার কথা। সেটা হল না। দ্বিতীয়ার্ধে গোলকিপার কমলজিৎ সিংহের একটা ভুলই শেষ করে দিল সব।

সে কথা স্বীকারও করে নিলেন কনস্ট্যান্টাইন। বললেন, “ফুটবল খেলা মানে সেখানে ভুল হবেই। কেউ না কেউ কোনও দিন ভুল করবেই। আজ হয়তো সেটা গোলকিপার করেছে। তার আগে প্রথমার্ধে আমরা বিপক্ষকে শাসন করেছি। আমরাই ভাল খেলেছি। গোল করার সুযোগ পেয়েছি। গোল করলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। প্রথম গোল খেয়ে যাওয়ার পর খেলাটা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পরেই বুঝেছিলাম ম্যাচ শেষ।”

সমর্থকদের অনেক আশা রয়েছে তাঁকে নিয়ে। কনস্ট্যান্টাইন সেটা জানেনও। তাই সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন তিনি। তাঁর কথায়, “বার বার বলেছি, দল, ম্যানেজমেন্ট সব কিছুই নতুন। সময় লাগবেই। আস্তে আস্তে আমরা উন্নতি করছি। ম্যাচের পরে আমরা ৫-৬ জন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরাই বলছিল, সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে ভাল ইস্টবেঙ্গল দলের বিরুদ্ধে ওরা খেলল। ওদের ধন্যবাদ। তাও বলব, আমাদের অনেক ত্রুটি রয়েছে যেগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে। আমরা এই হার থেকে শিক্ষা নেব। আপাতত আমাদের ফোকাসে শুধু চেন্নাইয়িন ম্যাচ।”

পাশাপাশি যোগ করলেন, “এখনও তো অনেক বাকি। পাঁচটা ম্যাচ হয়ে গেলেই তো কেউ আর ট্রফি জিতে যায় না। আমাদের হাতে এখনও ১৬টা ম্যাচ রয়েছে। প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। ভবিষ্যতের জন্য অনেক পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে আমার। ফেব্রুয়ারির শেষে বলতে পারব আমাদের সম্ভাবনা কতটা।”

প্রথমার্ধে জর্ডান ও’ডোহার্টিকে দু’বার বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর মধ্যে এক বার নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল বলে বিশেষজ্ঞ থেকে ধারাভাষ্যকারদের দাবি। তাই নিয়ে লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচের মন্তব্য, “আমি রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা ভাবি না। আমি সেটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে চাই না। প্রথমার্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা শাসন করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ সব কিছু বদলে গেল। আমার মতে, বুমোস সত্যিই ম্যাচের সেরা। দূর থেকে একটা শট নিয়েছিল। কী ভাবে গোল হয়ে গেল জানি না। তবে ওখান থেকে ফিরে আসা কঠিন ছিল। বুমোস, কাউকো বা আশিক, প্রীতমের মতো ফুটবলার থাকলে যে কোনও দলের কাজ সহজ হয়ে যায়। তা ছাড়া ওরা অনেক দিন ধরে খেলছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy