ফাইল চিত্র।
বিপক্ষে ওড়িশা এফসি থাকলেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের রক্তচাপ এখন বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে যায়। আইএসএলে গত মরসুমে ৫-৬ গোলে বিপর্যয়ের সাক্ষী ছিলেন তাঁরা। এ বার প্রথম পর্বে ফল ছিল ৪-৬। আজ, সোমবার ফের ওড়িশার সামনে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
ওড়িশার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে রণনীতি বদলে গত কয়েক দিন ধরেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন কোচ মারিয়ো রিভেরা। ফুটবলারদের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেছেন। ভুল শুধরে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও লাল-হলুদ শিবিরে আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচ রবিবার গোয়া থেকে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘ওড়িশা দলের ভারসাম্য খুব ভাল। অধিকাংশ সময়ই বলের পিছনে ওদের একাধিক ফুটবলার থাকে। কঠিন লড়াই হবে এই ম্যাচে।’’ সূত্রের খবর, ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
গত মরসুমে এগারো দলের আইএসএলে সবার শেষে ছিল ওড়িশা। এ বার শেষ চারে থাকার দৌড়ে ভাল ভাবেই রয়েছে তারা। দলের প্রধান ভরসা এটিকে-মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা হাভিয়ের হার্নান্দেস। এ ছাড়াও রয়েছেন ব্রাজিলীয় জোনাথাস জেসুস, লা লিগায় মায়োরকার হয়ে খেলা ৩২ বছর বয়সি আরিদাই সুয়ারেস। প্রথম পর্বের সাক্ষাতে ওড়িশার আক্রমণের ঝড়ের সামনে কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ। এ বার কী হবে?
আইএসএলের শেষ চারে যাওয়ার আশা শেষ ইস্টবেঙ্গলের। এই পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করা কতটা কঠিন? মারিয়ো বলে দিলেন, ‘‘ফুটবলাররা পেশাদার। আমি বিশ্বাস করি, জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নামবে সকলে। কোচ হিসেবে আমার কাজ ওদের ঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অতীত নিয়ে ভাবতে রাজি নই আমি।’’ যোগ করেন, ‘‘ধাপে ধাপে এগোতে চাই আমরা। সব ম্যাচেই তিন পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে নামি আমরা। মরসুমের শেষে দেখা যাবে লিগ টেবলে আমরা কোথায় থাকব।’’
এ দিকে ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই মারিয়োর সহকারী হিসেবে দলে যোগ দিলেন ভিক্তর ফোরকারা। প্রথম আইএসএলে কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলেছিলেন এই স্পেনীয় মিডফিল্ডার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy