হেরে হতাশ ভারতের ফুটবলারেরা। ছবি: টুইটার।
কিংস কাপে শক্তিশালী ইরাকের কাছে টাইব্রেকারে হারল ভারত। নির্ধারিত সময় ম্যাচ ২-২ অমীমাংসিত থাকার পর টাইব্রেকারে তারা হারল ৪-৫ ব্যবধানে। ভারতের হয়ে গোল করেন নাওরেম মহেশ। একটি গোল আত্মঘাতী। অন্য দিকে, ইরাকের হয়ে গোল করিম এবং আমিনের। এই ম্যাচ জিতলে ফাইনালে উঠত ভারত। হেরে যাওয়ায় তাইল্যান্ড বনাম লেবানন ম্যাচের পরাজিত দলের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্থানের ম্যাচ খেলতে হবে।
টাইব্রেকারে ভারতের প্রথম শটটি মিস করেন ব্রেন্ডন ফের্নান্দেস। বাকি চারটি শটেই গোল হয়। কিন্তু ইরাকের ফুটবলারেরা পাঁচটি শটেই গোল করে যান। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু প্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের চারটি শটে তাঁকে কোনও সুযোগই দেননি ইরাকের ফুটবলারেরা।
ম্যাচের শুরু থেকে বেশ আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ভারত। সামনে শক্তিশালী ইরাক থাকলেও ঘাবড়ে যায়নি তারা। নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে আক্রমণ হচ্ছিল। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ছিল ভারতের হাতেই। সেই আক্রমণের সুফল পায় তারা। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছিল। বাঁ দিক থেকে সাহাল সামাদ বল নিয়ে উঠে যান। মাঝখান থেকে উঠে আসছিলেন নাওরেম মহেশ। সাহাল পাস বাড়ান তাঁর উদ্দেশে। বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন মহেশ। জাতীয় দলের হয়ে এটাই তাঁর প্রথম গোল।
ছ’মিনিট পরে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল ভারত। বাঁ দিক থেকে মনবীর সিংব বল নিয়ে উঠে পাস দিয়েছিলেন আশিক কুরুনিয়নকে। কিন্তু গোল আসেনি। মিনিট কয়েকের মধ্যে পেনাল্টি পায় ইরাক। তাদের এক ফুটবলারের গোলমুখী শট সন্দেশ জিঙ্ঘনের হাতে লেগেছিল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন করিম। এর ছ’মিনিট পরে আবার ইরাক এগিয়ে যেতে পারত। গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুর দারুণ সেভে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে ইরাক তিনটি বদল করে। কিন্তু সুবিধা পায় ভারতই। ৫১ মিনিটের মাথায় ইরাকের গোলকিপার হাসানের ভুলে এগিয়ে যায় ভারত। মনবীরের থেকে পাস পেয়েছিলেন আকাশ মিশ্র। তিনি বক্সে সতীর্থকে পাস বাড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইরাকের গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে তা সেভ করতে যান। বলটি ঠিকমতো ধরতে পারেননি। হাতে লেগে তাঁর গোলে ঢুকে যায়।
এর পরেই বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ডান দিক থেকে ক্রস তুলেছিলেন ইরাকের ফুটবলার। সন্দেশ হেড দিতে লাফিয়ে উঠেছিলেন। তাঁর পিছনেই ছিলেন ইরাকের আর এক ফুটবলার। তাঁর সামনে নিখিল পূজারি। ইরাকের ফুটবলার বক্সের মধ্যে পড়ে যান। কিন্তু ভারতের কোনও ফুটবলারই তাঁকে অবৈধ ভাবে ফেলে দেননি। রেফারি তবু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। সেখান থেকে গোল করেন আমিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy