অস্ত্র: এমবাপের দিকেই তাকিয়ে ফ্রান্স। সোমবার মিউনিখে প্রস্তুতি ফরাসি তারকার। ছবি: রয়টার্স।
মিশেল প্লাতিনি ও জ়িনেদিন জ়িদানের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে চলতি ইউরোয় কি ফরাসি বিপ্লব ঘটাতে পারবেন কিলিয়ান এমবাপে? ১৯৮৪ সালে দেশকে ইউরোপ সেরা করেছিলেন প্লাতিনি। ২০০০ সালে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন জ়িদান। আট বছর আগে নিজেদের দেশের মাটিতে দিদিয়ে দেশঁ-র কোচিংয়ে ফাইনালে উঠলেও পর্তুগালের কাছে হেরে ইউরো জয়ের আশা অপূর্ণ থেকে গিয়েছিল ফ্রান্সের।
দেশঁ এখনও ফ্রান্সের কোচ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছেন এমবাপেরা। স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে দলে চোট-আঘাতের সমস্যাও নেই। কিন্তু দেশঁ-র অস্বস্তি বাড়াচ্ছে গোল করতে না পারার ব্যর্থতা। চলতি ইউরোয় পাঁচটি ম্যাচে ফ্রান্স গোল করেছে মাত্র তিনটি। এমবাপে গোল করেছেন একটি। তা-ও আবার পেনাল্টি থেকে। যদিও তা নিয়ে চিন্তিত নন দেশঁ। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্রাম দেওয়ার জন্যই পর্তুগালের বিরুদ্ধে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কিলিয়ানকে তুলে নিয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত, স্পেনের বিরুদ্ধে ও ১১০ শতাংশ দেবে।’’
স্ট্রাইকার সমস্যা দূর করতেই দুরন্ত স্পেনের বিরুদ্ধে দেশঁ প্রথম একাদশে এমবাপের সঙ্গে অলিভিয়ের জিহুকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল আদ্রিয় রাবিয়োঁ-র। ছন্দে না থাকা আঁতোয়ান গ্রিজ়ম্যান ও এদুয়ার্দ কামাভিঙ্গাকে বাদ দিতে পারেন দেশঁ। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো স্পেনের আক্রমণের ঝড় থামাতে আক্রমণাত্মক ফুটবলই যে তাঁর অস্ত্র, গোপন করেননি তিনি। বলেছেন, ‘‘স্পেন গোলের জন্য ঝাঁপাবেই। রক্ষণাত্মক ফুটবল ওরা খেলবে না। আমাদেরও গোলের মুখ খুলতে হবে। এমবাপের পাশে শক্তিশালী স্ট্রাইকার খেলাতে পারি।’’
এমবাপের সঙ্গে জিহু কি শুরু করবেন? দেশঁ বলেন, ‘‘জিহুকে প্রথম একাদশে খেলানো হতে পারে। এ বার ও কোনও ম্যাচেই শুরু থেকে খেলেনি। পরিবর্ত হিসেবে নেমেছে বলে বাকিদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ভাবার কারণ নেই।’’ যোগ করেন, ‘‘কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরেছে রাবিয়োঁ। ওকেও খেলাতে পারি।’’ স্পেনের মাঝমাঠ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশঁ যোগ করেছেন, ‘‘ওদের মাঝমাঠ বরবারই দুর্দান্ত। রদ্রি ভয়ঙ্কর। এ বার সবচেয়ে ভাল দল স্পেনের।’’
পরিবর্ত হিসেবে নেমে জার্মানির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে অনবদ্য হেডে গোল করে স্পেনকে জিতিয়েছিলেন মিকেল মেরিনো। থাকবেন আলভারো মোরাতার মতো স্ট্রাইকার। দেশঁ-র যদিও পূর্ণ আস্থা রয়েছে গোলরক্ষক মাইক মেনিয়ঁ-র উপরে। এই ইউরোয় ফরাসি গোলরক্ষক ৯৪ শতাংশ গোল বাঁচিয়েছেন। ২০১২ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের গোলরক্ষক ইকের ক্যাসিয়াস এই নজির গড়েছিলেন। দেশঁ বলছেন, ‘‘মেনিয়ঁ কেন সেরা বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ও অনবদ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy