অরিন্দমদের নিয়ে খুশি নন ভাস্কর। ছবি টুইটার
আগামী শনিবার মরসুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি। মুখোমুখি হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই প্রথম বার কোনও ডার্বিতে মুখোমুখি হওয়ার আগে দু’ দলের অবস্থা একই রকম। এটিকে মোহনবাগান রয়েছে লিগ তালিকায় সাত নম্বরে। এসসি ইস্টবেঙ্গল সবার নীচেই রয়েছে।
ডার্বির আগে দু’ দলের কাছে বড় সমস্যা তাদের গোলকিপার। এটিকে মোহনবাগানের অমরিন্দর সিংহ ১০টি ম্যাচ খেলে ১৮টি গোল খেয়েছেন। ক্লিন শিট মাত্র ২টি। অন্য দিকে, ৯টি ম্যাচ খেলে ১৪টি গোল খেয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের অরিন্দম ভট্টাচার্য। প্রাক্তন গোলকিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় মনে করছেন, দুই দলের গোলকিপারই আত্মবিশ্বাসের অভাবে মারাত্মক ভাবে ভুগছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে ভাস্কর বলেছেন, “দু’ দলের গোলকিপারের মধ্যেই আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত অভাব রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে দেখলাম না দায়িত্ব নিয়ে গোলকিপিং করছে। অরিন্দমকে দেখে মনে হচ্ছে খুবই শ্লথ। নড়াচড়ায় ভাল রকম সমস্যা হচ্ছে। গোলকিপার হচ্ছে ডিফেন্সের শেষ স্তম্ভ। সবার পিছনে দাঁড়িয়ে সে গোটা মাঠটাকে দেখতে পায়। ডিফেন্স ঠিক রাখাও তাদের কাজের মধ্যে পড়ে। যতটুকু খেলা দেখেছি এ বারের আইএসএল-এ, তাতে কোনও গোলকিপারকেই এই কাজটা করতে দেখিনি। ডিফেন্স ঠিক রাখার কাজ করতে পারেনি বলেই এতগুলো গোল খেতে হয়েছে। যোগাযোগেরও অভাব ছিল।”
আরও একটি ব্যাপার আলাদা করে তুলে ধরেছেন ভাস্কর। বলেছেন, “প্রথম বলটা গ্রিপ করা যে কোনও গোলকিপারের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ঠিকঠাক হলে এমনিই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। কিন্তু দু’ প্রধানের গোলকিপারদেরই একটা প্রবণতা দেখলাম, বল এলেই ঘুসি মেরে উড়িয়ে দেওয়া। এটা চলবে না। বল ঠিক করে গ্রিপ করাটা গোলকিপারের কাজের মধ্যে পড়ে। আমি যা দেখলাম, এরা গোলকিপিংয়ের সাধারণ ব্যাপারগুলোই কাজে লাগাতে পারছে না। কেউই বাচ্চা নয়। দু’জনেই অভিজ্ঞ। ওদের থেকে এ রকম ভুল প্রত্যাশিত নয়।”
ডার্বির আগে কি দুই প্রধানের গোলকিপার কোচেদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল? একমত হলেন না ভাস্কর। বললেন, “খারাপ লাগলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, গোলকিপার কোচ যাঁরা রয়েছেন তাঁরা নিজেরাও সম্ভবত সাধারণ ব্যাপারগুলো সম্পর্কে অবহিত নন। না হলে প্রতি ম্যাচ এক ভুল কেন হবে? এটা তো একটা বিশেষ কাজ। আগে বল ভাল করে গ্রিপ করতে শেখাক।”
প্রথম সাক্ষাতে ২২ মিনিটেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে তিন গোল দিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তার মধ্যে অন্তত দু’টি ক্ষেত্রে ভুল ছিল অরিন্দমের। তৃতীয় গোলের পরেই চোট পেয়ে তিনি উঠে যান। পরের বেশ কিছু ম্যাচে খেলেননি। অন্য দিকে, মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে একটি ম্যাচে পাঁচ গোল খেয়েছিলেন অমরেন্দ্র। গত ম্যাচেও ওড়িশার কাছে ২ গোল খেয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy