সেনেগালের কাছে পরাজয়ের পর হতাশ কাতারের ফুটবলাররা। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপ থেকে প্রথম দেশ হিসাবে ছিটকে গেল আয়োজক কাতারই। ইকুয়েডরের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের খেলা অমীমাংসিত ভাবে শেষ হতেই দ্বিতীয় রাউন্ডের দরজা বন্ধ হয়ে গেল কাতারের সামনে।
বিশ্বকাপ ফুটবলে এশিয়ার দেশগুলো যখন চমকে দিচ্ছে, তখন হতাশ করল আয়োজক কাতারই। প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে ০-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল কাতার। শুক্রবার সেনেগালের কাছেও ১-৩ ব্যবধানে হেরে গেল আয়োজকরা। পর পর দু’ম্যাচ হারায় কাতারের ভাঁড়ারে পয়েন্ট শূন্য। ২৯ নভেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দিলেও তিন পয়েন্টের বেশি হবে না।
দু’টি করে ম্যাচ খেলে নেদারল্যান্ডস এবং ইকুয়েডরের সংগ্রহ এখনই ৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ, শেষ ম্যাচে কাতার যদি নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েও দেয়, তা হলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে পারবে না কাতার। কারণ তাদের তিন পয়েন্টের বেশি পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে, শুক্রবার নেদারল্যান্ডস-ইকুয়েডর ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল কাতারের। ২৯ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ এখন তাদের কাছে স্রেফ সম্মান বাঁচানোর নিয়মরক্ষার লড়াই। দু’টি ম্যাচ খেলার পর গ্রুপের অন্য দল সেনেগালের ঝুলিতে রয়েছে ৩ পয়েন্ট। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে ইকুয়েডরের। পরের পর্বে যেতে তাদের জিততেই হবে।
২০১০ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। আয়োজক দেশের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে না পারার সেটাই ছিল এত দিন পর্যন্ত এক মাত্র ঘটনা। সেই তালিকায় দ্বিতীয় দেশ হিসাবে যোগ হল কাতারের নাম।
একটি ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ছাপিয়ে গেল কাতার। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের আয়োজকরা দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে না পারলেও প্রতিযোগিতার প্রথম দেশ হিসাবে বিদায় নিশ্চিত হয়নি তাদের। এ বারের আয়োজক কাতার প্রথম প্রতিযোগী দেশ হিসাবেও বিদায় নিশ্চিত করে ফেলল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy