পেশাদার মরসুমের মাঝে বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য ক্লাবগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে ফিফাকে। ছবি: টুইটার।
এ বারের বিশ্বকাপের ৩২টি দলে ছিলেন ৮০০-র বেশি ফুটবলার। বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন তাঁরা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, বুন্দেশলিগার মতো বিশ্বের প্রথম সারির লিগগুলিতে খেলেন অনেকেই। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ক্লাবগুলিকে অর্থ দেবে ফিফা। যে ক্লাবের যত বেশি ফুটবলার বিশ্বকাপের দলে ছিলেন, সেই ক্লাব তত বেশি অর্থ পাবে।
অন্য বার বিশ্বকাপের জন্য ক্লাবগুলিকে অর্থ দেওয়া না হলেও এ বার দেওয়া হবে। বিশ্বকাপের সময় পরিবর্তনের জন্যই ক্লাবগুলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দিতে হচ্ছে ক্লাবগুলিকে। বিশ্বকাপ ফুটবল সাধারণত হয় জুন-জুলাই মাসে। বছরের সে সময় ক্লাব ফুটবলের মরসুম শুরু হয় না। ফলে সমস্যাও হয় না তাদের। কিন্তু কাতারের আবহাওয়ার জন্য এ বারের বিশ্বকাপের সময় পরিবর্তন করতে হয়েছে। দোহার গ্রীষ্ম এড়াতে বিশ্বকাপ হচ্ছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। বছরের এই সময় ক্লাব ফুটবলের ভরা মরসুম। সব দেশেই লিগের খেলা চলছে। প্রতিযোগিতার মাঝখানে ফুটবলারদের ছেড়ে দিলে সমস্যা হতে পারে। পরের পর্বে প্রভাব পড়তে পারে দলের ছন্দে বা পারফরম্যান্সে। তাই প্রাথমিক ভাবে ক্লাবগুলি এই সময়ে বিশ্বকাপের জন্য ফুটবলারদের ছাড়তে রাজি ছিল না। কারণ ক্লাবগুলি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ফুটবলারদের জন্য।
সমস্যার সমাধানে ক্লাবগুলিকে অর্থের প্রস্তাব দেয় ফিফা। প্রত্যেক ফুটবলারকে ছাড়ার জন্য ক্লাবগুলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেওয়া হবে। প্রত্যেক ফুটবলার বিশ্বকাপের জন্য যত দিন ক্লাবের দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না, সেই প্রতি দিনের জন্য অর্থ দেওয়া হবে। এই অর্থের অঙ্ক ১০ হাজার ডলার। ভারতীয় মূল্যে ৮ লাখ ২৭ হাজার টাকার বেশি। ফিফার এক কর্তা জানিয়েছেন, ক্লাবগুলির চাহিদা মেটাতে এ বারের বিশ্বকাপের জন্য ফিফাকে অতিরিক্ত ১৭২৯ কোটি টাকার বেশি ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
ফিফা এখনও পর্যন্ত যে হিসাব করেছে, তাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০ ক্লাবকে টাকা দিতে হবে। সব থেকে কম টাকা পাবে বোর্নমাউথ। তারা পাবে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার (ভারতীয় মূল্যে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা)। সব থেকে বেশি টাকা পাবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তারা পাবে ৪০ লাখ ডলার বা ভারতীয় মূল্যে ৩৩ কোটি টাকার বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চেলসি। তারা পাবে প্রায় ২৩ কোটি টাকার বেশি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। তারা পাবে প্রায় ২২ কোটি টাকা। প্রাপ্তির নিরিখে প্রথম ১০টি ক্লাবের টটেনহ্যাম প্রায় ২০ কোটি, লিভারপুল প্রায় ১৫ কোটি, আর্সেনাল প্রায় ১৩ কোটি, উলভস্ প্রায় ১২ কোটি ৭৪ লাখ, লেস্টার সিটি ১১ কোটি ৫৮ লাখ, ব্রাইটন ১১ কোটি ১৭ লাখ, ফুলহ্যাম ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাবে।
এই টাকা আবার তিনটি ভাগ হবে। সংশ্লিষ্ট ফুটবলার চলতি মরশুমে যে ক্লাবের হয়ে খেলছেন, সেই ক্লাব পাবে সব থেকে বেশি অংশ। ২০২০ সালে ফিফার সঙ্গে চুক্তির সময় তিনি যে ক্লাবে ছিলেন, তারাও পাবে কিছু অংশ। আর একটি অংশ পাবে সংশ্লিষ্ট পেশাদার ফুটবলার কর্মী হিসাবে যে ক্লাব বা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy