বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী দল ইংল্যান্ড। অথচ এখনও পর্যন্ত মাত্র এক বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ১৯৬৬ সালে আয়োজক দেশ হিসাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। এ বার খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার বলা হচ্ছে গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে সেনেগালের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই সতর্ক হ্যারি কেনরা। নিজেদের চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
নকআউট পর্বে কোনও দলকেই সহজ ভাবে নেওয়া যায় না। হার মানেই প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়। সামনে সেনেগাল। খাতায় কলমে দুর্বল হলেও বিশ্বকাপে অঘটন ঘটানোর ইতিহাস রয়েছে আফ্রিকার এই দেশের। চাপ মুক্ত রাখতে অবসর সময় হ্যারি কেনরা একটি অন্য খেলা বেছে নিয়েছেন। খেলাটির নাম ওয়্যারউলফ। এটি একটি ‘রোল প্লে ভিডিয়ো গেম’। পাঁচ-ছ’জন মিলে খেলতে হয়। প্রত্যেকের আলাদা ভূমিকা থাকে। কেউ হন গ্রামবাসী, কেউ চিকিৎসক, কেউ নেকড়ে। হিংস্র নেকড়ের আক্রমণ থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচানোই প্রধান লক্ষ্য। খেলতে হয় ভিডিয়ো কনফারেন্সে। কেমন খেলা? ইংল্যান্ডের রক্ষণ ভাগের ফুটবলার ডেকলান রাইস বলেছেন, ‘‘গ্রামবাসীদের মিথ্যা কথা বলে নেকড়েকে তাড়াতে হয় গ্রাম থেকে। অর্থাৎ, নানা রকম ছলা-কলা করে তাড়াতে হয়। এক জন মডারেটর থাকে। সে পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করে। খেলাটা দলগত সংহতি বাড়াতেও সাহায্য করে।’’
এই খেলা কতটা চাপমুক্ত রাখতে পারছে হ্যারি কেনদের? ৭ পয়েন্ট নিয়ে নকআউটে পৌঁছালেও আমেরিকার বিরুদ্ধে ড্র এখনও মাথায় রয়েছে তাদের। জার্মানি, বেলজিয়ামের মতো দল গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। সতর্ক আর এক ফুটবলার জন স্টোন বলেছেন, ‘‘কোনও বড় দল বা ব়ড় খেলোয়াড় মানুষের প্রত্যাশা মতো সাফল্য না পেলে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়। আমরা কখনও চাইব না সে রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে। এটাই আমাদের সব থেকে বেশি উদ্বুদ্ধ করছে। যাদের বিরুদ্ধেই খেলা হোক, কখনও সহজ ভাবে নেওয়া ঠিক নয়।’’
আরও পড়ুন:
২০১৮ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। এ বার কি ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন সাউথগেটের ছেলেরা? আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। তাঁরা মনে করছেন, দল ভাল ছন্দে রয়েছে। দলে চোট আঘাতের সমস্যাও নেই। স্টোন বলেছেন, ‘‘আমরা একটা লক্ষ্য নিয়েই এখানে এসেছি। নিজেদের সেই মানের উপযুক্ত করে তৈরি করেছি। ছোট বিষয়গুলো এলোমেলো হতে শুরু করলে আস্তে আস্তে বড় বিষয়গুলোও এলোমেলো হয়ে যায়। যে এক বা দুই শতাংশ জিনিস আমরা ভাল করতে পারি, সেগুলোই ছোট বিষয়। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’