কাতারে বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই নানা ধরনের বিতর্ক চলছিল। —প্রতীকী চিত্র
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে ফ্রান্স এবং আর্জেন্টিনা। লুসাইল স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। রবিবারের সেই ম্যাচের আগেই স্টেডিয়ামে এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। সেই নিরাপত্তারক্ষীর পরিবারের তরফে চাওয়া হল উত্তর।
কাতারে বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই নানা ধরনের বিতর্ক চলছিল। দু’জন সাংবাদিক মারা যাওয়ার খবর আগেই সামনে এসেছিল। এ বার জানা গেল এক নিরাপত্তারক্ষী মারা গিয়েছেন। তা-ও আবার সেই স্টেডিয়ামে, যেখানে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলা হবে রবিবার। কেনিয়া থেকে এসেছিলেন সেই নিরাপত্তারক্ষী জন কিবু। ২৪ বছরের সেই ব্যক্তি স্টেডিয়ামের একটি উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যান। ১০ ডিসেম্বর সেই ঘটনাটি ঘটে। সে দিন আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ ছিল লুসাইলে। নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বলেন, “মঙ্গলবার হাসপাতালে মারা যান উনি। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে ৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হল না। তাঁর পরিবার, বন্ধুদের সমবেদনা জানাই।”
কিবুর পরিবার যদিও স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের এই সমবেদনাতে শান্ত থাকতে পারছে না। পরিবারের তরফে বলা হয়, “আমরা উত্তর চাই। যদি সম্ভব হয় অবশ্যই কিবুর মরদেহ আমাদের কাছে পাঠানো হোক। আমাদের পক্ষে এই মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। শুধু সমবেদনা দিয়ে ছেড়ে দিলে হবে না।”
প্রায় এক বছর ধরে কাতারে কাজ করছিলেন কিবু। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ছবিও দেওয়া হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সঙ্গে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। আর্জেন্টিনা ম্যাচের পরেই মারা যান কিবু। কেনিয়া থেকে প্রচুর মানুষ কাতারে কাজ করতে আসেন। গত বছর কেনিয়ার এক পরিযায়ী শ্রমিক কাতারে কাজ করতে এসে সেখানকার অব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিশ্বকাপ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে কিবুর মৃত্যুর কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এটা নিয়ে তদন্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy