গ্যারেথ সাউথগেট। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডকে এ বার ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন করতে মরিয়া কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। দলের প্রস্তুতি পর্ব থেকেই সব কিছু কড়া হাতে সামলাচ্ছেন। ফুটবলের পাশাপাশি হ্যারি কেনের দলের শৃঙ্খলা নিয়েও কোনও রকম আলগা দিতে রাজি নন তিনি। ফুটবলারেরা কী খাবেন, কী খাবেন না তা-ও নিজে নিয়ন্ত্রণ করছেন ইংল্যান্ডের কোচ।
এ বার দেশ থেকে কোনও রাঁধুনি নিয়ে জার্মানিতে যায়নি ইংল্যান্ড। চুক্তি করা হয়েছে জার্মানির পুরস্কারজয়ী রাঁধুনি ড্যানি শোয়াবের সঙ্গে। শোয়াবের রান্নার খ্যাতি রয়েছে ইউরোপে। তিনিই দলের প্রত্যেক সদস্যের চার বেলার খাবার তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইউরো কাপের সময় হ্যারি কেনদের খাবারে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে তাঁকে। সেই মতোই কাজ করছেন শোয়াবে এবং তাঁর সঙ্গীরা।
তাঁকে মানতে হচ্ছে আরও একটি শর্ত। যা দিয়েছেন সাউথগেট। শোয়াবের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি করার সময়ই নিজের শর্তের বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন সাউথগেট। তাঁকে ‘নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট বা এনডিএ-তে (দলের বাইরে কোনও কিছু বলা যাবে না) সই করান ইংল্যান্ড কোচ। এর ফলে দলের কোন ফুটবলার কী খাচ্ছেন বা কী খাচ্ছেন না এই ধরনের কোনও তথ্য তিনি কাউকে দিতে পারবেন না। ইংল্যান্ডের ফুটবলারেরা কী খাবেন, তা ঠিক করার অধিকারও নেই জার্মান রাঁধুনির। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকা ঠিক করে দিচ্ছে কোচ সাউথগেট নিজে। সেই মতো কাজ করতে হচ্ছে শোয়েবে এবং তাঁর সহকারীদের। কাজ করতে হচ্ছে মুখ বন্ধ রেখে।
প্রস্তুতি পর্বের সময় দু’জন ইংরেজ রাঁধুনি দলের রান্নার যাবতীয় দায়িত্ব সামলেছিলেন। তাঁরা দলের সঙ্গে জার্মানিতে এসেছেন। কিন্তু রান্না করছেন না। শোয়েবের সঙ্গে ইংল্যান্ডের রান্নাঘর সামলাচ্ছেন আরও সাত জার্মান রাঁধুনি। তাঁদের তৈরি খাবার পরীক্ষা করে দেখছেন দুই ইংরেজ রাঁধুনি। তাঁদের রিপোর্ট পাওয়ার পর সাউথগেট ফুটবলারদের খাবার অনুমতি দিচ্ছেন।
সাউথগেটের কড়াকড়ি সত্ত্বেও জানা গিয়েছে ইংল্যান্ডের রান্না ঘরের হাঁড়ির খবর। ইউরো খেলতে এসে ইংরেজ ফুটবলারেরা মূলত পাস্তা, ভাত এবং মুরগির মাংস খাচ্ছেন। এর মধ্যেই অধিনায়ক হ্যারি কেন এক দিন আবদার করে নিজের প্রিয় সুশি তৈরি করিয়েছেন জার্মান রাঁধুনিদের দিয়ে। কোচ বিশেষ কোনও খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেননি। তবে সময় পেলেই হোটেলের রান্নাঘরে চলে যাচ্ছেন। নিজে খতিয়ে দেখছেন কী ভাবে রান্না হচ্ছে। মনে হলে কোনও কোনও খাবার মুখে দিয়েও দেখছেন। ফুটবলারদের সুস্থ শরীর ব্যস্ত হোক, তা একে বারেই চাইছেন না সাউথগেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy