বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন মার্তিনেস। ফাইনালে মুখ দিয়ে গোল বাঁচাতে চেয়েছিলেন তিনি। —ফাইল চিত্র
হাত বা পা নয়, মুখ দিয়ে গোল বাঁচাতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বিশ্বকাপের ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপেদের ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কেন এমনটা চেয়েছিলেন তিনি? বিশ্বকাপ জেতার এত দিন পরে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন লিয়োনেল মেসির সতীর্থ।
বিশ্বকাপের ফাইনালে নামার আগে গোটা প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৫টি গোল খেয়েছিলেন মার্তিনেস। সেমিফাইনালে তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ফাইনালে ১২০ মিনিটে তিন বার গোল হজম করতে হয়েছিল তাঁকে।
অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে বড় সুযোগ পেয়েছিলেন ফ্রান্সের রান্ডাল কোলো মুয়ানি। বক্সের ঠিক বাইরে অরক্ষিত অবস্থায় বল পান তিনি। সেই বল জালে জড়াতে পারলেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত ফ্রান্স। ঠিক সেই সময় গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল বাঁচান মার্তিনেস। কোলো মুয়ানির জোরালো শট মার্তিনেসের বাঁ পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। কিন্তু মার্তিনেস চেয়েছিলেন, কোলো মুয়ানির সেই শট তাঁর মুখে লাগুক।
একটি সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক বলেছেন, ‘‘কোলো মুয়ানি বল পাওয়ার পরে আমি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম, ও যত জোরে পারে মারুক। আমি চেয়েছিলাম, বল এসে আমার মুখে লাগুক। শেষ মুহূর্তে আমি চোখ বন্ধ করে নিয়েছিলাম। তৈরি ছিলাম। কিন্তু বল আমার পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়।’’
বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ১০ মিনিটের মাথায় মেসির পেনাল্টি ও পরে ৩৫ মিনিটের মাথায় আঙ্খেল ডি মারিয়ার গোলে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ৭৯ ও ৮০ মিনিটে জোড়া গোল করে সমতা ফিরিয়েছিলেন এমবাপে। অতিরিক্ত সময়ে আবার গোল করেছিলেন মেসি। তাতেও জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। কারণ, তার পরেই নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছিলেন এমবাপে। শেষ টাইব্রেকারে হয়েছিল ম্যাচের ফয়সালা। ৪-২ জিতে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মেসিরা। টাইব্রেকারে ফ্রান্সের কিংসলে কোম্যানের শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন মার্তিনেস।
বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতলেও গোটা প্রতিযোগিতায় বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন মার্তিনেস। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারানোর পরে তাদের কোচ লুইস ফান হালের সঙ্গে বিবাদে জড়ান তিনি। সেরা গোলরক্ষকের ট্রফি নিয়ে অশালীন ভঙ্গি থেকে শুরু করে এমবাপের পুতুল নিয়ে উল্লাস— সব রয়েছে সেই তালিকায়। ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকও হয়েছেন মার্তিনেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy