টানা তৃতীয় বার আইএসএলে ব্যর্থ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। নতুন করে দল গড়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। বদলে ফেলা হবে কোচও। তাই আসন্ন সুপার কাপই স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের কাছে লাল-হলুদ কোচ হিসাবে শেষ প্রতিযোগিতা। সুপার কাপে সম্মানজনক ফল নিয়েই লাল-হলুদের কোচের পদ থেকে সরে যেতে চাইছেন তিনি। শনিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে রাত সাড়ে ৮টায় মঞ্জেরিতে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে অনেক বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে তাঁর। একাধিক আপত্তির কথা জানালেন তিনি।
গ্রুপে ওড়িশা বাদেও আই লিগের দল আইজল এবং হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। কনস্ট্যান্টাইন বলেছেন, “যোগ্যতা অর্জন করার জন্য আইজলকে ধন্যবাদ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আগে আমরা আইএসএলে খেলেছি। আমাদের লক্ষ্য গ্রুপ থেকে যোগ্যতা অর্জন করা।” তবে যে সময়ে খেলা হচ্ছে এবং এত যাতায়াত করা হচ্ছে, এটা নিয়ে খুশি নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলেছেন, “আমাকে দু’ঘণ্টা গাড়িতে করে এখানে এসে সাংবাদিক বৈঠক করতে হচ্ছে। ফিরতে আরও দু’ঘণ্টা লাগবে। এর পর অনুশীলনে যাব আরও এক ঘণ্টা গাড়িতে চেপে। আমার মনে হয় এটা পুরোপুরি সময়ের অপচয়।”
আরও পড়ুন:
শুধু তাই নয়, প্রতিযোগিতার ফরম্যাট নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাঁর। তিনি বলেছেন, “সুপার কাপ সারা বছর ধরে হওয়া উচিত এবং সেখানে আইএসএল ও আই লিগের সব দলের খেলা উচিত। খেলার ফরম্যাট হওয়া উচিত নকআউট। এখানে আমরা তিনটে করে ম্যাচ খেলব, যা নকআউট নয়। এ ভাবে হয় না। এটা কাপ খেলছি, কোনও ট্রফি নয়। তা হলে নকআউট হবে না কেন? আইএসএলের মাঝে সুপার কাপ হওয়া উচিত এবং নকআউট ম্যাচ হওয়া উচিত। জানি এটা এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে এএফসিকে দেখানো যায় যে অনেক ম্যাচ খেলছি।”
দলে যে ক’জন ফুটবলার রয়েছেন, তার মধ্যে হাতেগোনা কয়েক জন বাদ দিলে কারওরই আর আগামী মরসুমে থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই শেষ বারের মতো লাল-হলুদ জার্সি গায়ে ভাল খেলতে চান প্রত্যেকেই। তার আগে ওড়িশা সম্পর্কে কনস্ট্যান্টাইন বললেন, “ওদের বিরুদ্ধে দু’বার আইএসএলে খেলেছি। প্রথম গেমে জেতার মতো অবস্থা থেকে হেরেছি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ড্র করতে পারতাম। আশা করি এ বার ওদের বিরুদ্ধে জিতে শুরু করতে পারব।”