ফেলিসিয়ো ব্রাউন ফোর্বস। — ফাইল চিত্র।
জেভিয়ার সিভেরিয়োকে ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বদলি চূড়ান্ত করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, কোস্টা রিকার ফেলিসিয়ো ব্রাউন ফোবর্সকে সই করাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। ভারতের ভিসা পেয়ে গেলেই ইস্টবেঙ্গলে এসে যোগ দেবেন ব্রাউন। তবে ডার্বিতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই।
ব্রাউন কোস্টা রিকার হয়ে জাতীয় দলে খেলেন। তবে জন্ম জার্মানিতে। প্রথম তিনি কোস্টা রিকার হয়ে খেলতেই আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু জার্মানির যুব দলে সুযোগ পাওয়ার পর সেই দেশের হয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নেন। জার্মানির অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে খেললেও সিনিয়র দলে ২০১১ সাল থেকে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সে কারণেই কোস্টা রিকার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। এখনও পর্যন্ত কোস্টা রিকার হয়ে চারটি ম্যাচ খেললেও গোল করতে পারেননি।
ইস্টবেঙ্গলে আসার আগে চিনের ক্লাব কিংদাও হাউনিউতে খেলছিলেন। সেখান থেকেই ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিচ্ছেন। ব্রাউনের খেলা খুবই পছন্দ হয়েছে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। তিনিই পছন্দ করেছেন এই ফুটবলারকে। সিভেরিয়োর মতোই তিনি সেন্টার ফরোয়ার্ড। চিনের সুপার লিগে তিনি ৫১টি ম্যাচে ১৯টি গোল করেছেন। চিনের এফএ কাপে ২টি ম্যাচ খেলেছেন।
ব্রাউনে ক্লাব ইতিহাস বেশ বড়। ২০১৪ সালে জার্মানি থেকে তিনি রাশিয়া চলে যান। সে দেশের ক্রিলিয়া সোভেতভ ক্লাবে যোগ দেন। সেখান থেকে এফসি আলফা, আনজি মাখাচকলা, আমকার পার্ম, কোরোনা কিয়েলচেতে খেলেছেন। এর পর পোল্যান্ডের একাধিক ক্লাবে খেলেছেন। ২০২২ সালে চিনের উহান ক্লাবে যোগ দেন। পরের বছর কিংদাওয়ে যোগ দেন। সেখান থেকে সোজা ইস্টবেঙ্গলে।
মরসুমের শুরুতে হায়দরাবাদ এফসি থেকে জেভিয়ার সিভেরিয়োকে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভার পাশে যোগ্য স্ট্রাইকার খুঁজতেই নেওয়া হয়েছিল সিভেরিয়োকে। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সিভেরিয়ো। ক্লেটন যখন অফ ফর্মে ছিলেন তখন গোল করার দায়িত্ব পালন করতে পারেননি সিভেরিয়ো। প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছেন। সুপার কাপের পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়, সিভেরিয়ো জামশেদপুর এফসি-তে লোনে যোগ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy