(বাঁ দিকে) মাদিহ তালাল। জনি কাউকো (ডান দিকে)। ছবি: সমাজমাধ্যম।
যে মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছিল, ঠিক তখনই একের পর এক চোট বেসামাল করে দিয়েছে দলকে। একের পর এক বিদেশি চোট পাচ্ছেন। মাঝমাঠে জমে গিয়েছিলেন মাদিহ তালাল। তবে ওড়িশা ম্যাচে হুগো বুমোসের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে চোট পেয়েছেন তিনি। যা অবস্থা তাতে গোটা মরসুমের জন্যই ছিটকে গিয়েছেন। এই অবস্থায় পরিবর্ত হিসাবে মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার জনি কাউকোর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল।
বৃহস্পতিবার পায়ে চোট পাওয়ার পর ‘নি ব্রেস’ পরে রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসেছিলেন তালাল। পরে ওড়িশার দুই ফুটবলারের কাঁধে ভর করে সাজঘরে পৌঁছন। মাঠ থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন হুইলচেয়ারে করে। শুক্রবার তাঁর এমআরআই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, অ্যান্টেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্টে (এসিএল) চোট রয়েছে। যে কোনও ফুটবলারের কাছেই এই চোট বড় ধাক্কা। দীর্ঘ দিনের জন্য ছিটকে যেতে হয়। তালালের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। তাঁর চোট সারতে ৬-৯ মাস লাগতে পারে।
ইস্টবেঙ্গল তাই তালালকে ‘আনরেজিস্টার’ করিয়ে নতুন ফুটবলারকে সই করাতে পারে। পরিবর্ত হিসাবে সবার আগে রয়েছেন কাউকো। মোহনবাগানকে গত মরসুমে লিগ-শিল্ড জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ইউরোয় খেলা ফুটবলারকে তবু রাখেনি দল। এখন কাউকো খেলেন আই লিগের দল ইন্টার কাশীতে। ইস্টবেঙ্গল তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
তবে কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। মূল সমস্যা সেই অর্থই। কারণ দল প্রায় তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মাঝে নতুন ফুটবলার নেওয়া মানেই বাড়তি খরচ। তবে আই লিগ ছেড়ে আইএসএলে ফিরতে পারলে কাউকো যে খুশি হবেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সমস্যা রয়েছে, কী ভাবে কাশীর সঙ্গে চুক্তি ভেঙে তিনি বেরোবেন তা নিয়ে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতেই কাউকোকে নেওয়া হতে পারে।
এ দিকে, দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস পঞ্জাব ম্যাচেই ফিরতে পারেন। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে সে কথা তিনি নিজেই বলেছেন। তবে সাউল ক্রেসপোর এ বছর ফেরার সম্ভাবনা কম। তাঁকে পরের বছর কলকাতা ডার্বির আগে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy