ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। — ফাইল চিত্র।
১১ মিনিটে মাদিহ তালালের চোট। ৪৩ মিনিটে জিকসন সিংহের লাল কার্ড। প্রথমার্ধে দলের দুই নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডারের বেরিয়ে যাওয়াই ওড়িশার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করেন কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। তবু দলের ছেলেদের যে লড়াকু মানসিকতা ও পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে, তার প্রশংসা করলেন স্প্যানিশ কোচ। এ দিকে, আবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল করে ওড়িশার হুগো বুমোসের মুখে মোহনবাগানের কথা।
বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে ১১ মিনিটের মাথায় পায়ে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গলের ফরাসি মিডফিল্ডার তালাল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আর এক মিডফিল্ডার জিকসনকেও। তা সত্ত্বেও দমেনি লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে লড়াই করে লালচুংনুঙ্গার গোলে এগিয়েও যায়। পরে দু’টি গোল খেলেও দলের লড়াই খুশি করেছে ব্রুজ়োকে।
ম্যাচের পর বলেছেন, “মাদিহ ও জিকসনের বেরিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে খুবই খারাপ হয়েছে। ওড়িশার প্রথম গোলটাও আমাদের দুর্ভাগ্যের জন্য হয়েছে। ও ভাবে গোল না হলে হয়তো ফল ১-০ থেকে যেত। দলের ছেলেরা যে মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিল তাতে এই ম্যাচে আমাদের হারার কথা নয়।”
তাঁর সংযোজন, “ওড়িশা ম্যাচে যার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই তালাল ম্যাচের শুরুতেই চোট পেয়ে যাওয়ায় আমাদের সমস্যা আরও বাড়ে। ওর হাঁটুতে চোট লেগেছে। কাল (শুক্রবার) এমআরআই করার পর বোঝা যাবে চোট কত গুরুতর। ওর হাঁটুতে যথেষ্ট ব্যথা রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে চোটটা গুরুতর।” শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের এক অনুষ্ঠানে দলের অন্যতম কর্তা আদিত্য আগরওয়াল জানিয়েছেন, সাউলের ফিরতে জানুয়ারি হয়ে যাবে। দিয়ামানতাকোস আরও তাড়াতাড়ি ফিরতে পারেন। তবে তালালের বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত নয়।
পেশির চোটের জন্য প্রায় সপ্তাহ দুয়েকের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপোকে। গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস ও ডিফেন্ডার হেক্টর ইয়ুস্তেও চোট পেয়ে আপাতত দলের বাইরে। তালাল ছিলেন ভরসা। তবে তাঁর চোট কত দিনের জন্য মাঠের বাইরে রাখবে তা ইস্টবেঙ্গল শিবিরের চিন্তার বিষয়। যে দুই বিদেশি সুস্থ, সেই হিজাজি মাহের ও ক্লেটন সিলভা তাঁদের সেরা ছন্দে নেই। ফলে কোচের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়াই স্বাভাবিক।
সেই হতাশা গোপন করেননি ব্রুজ়ো। বলেছেন, “চোট-আঘাত ও কার্ড সমস্যায় জর্জরিত দল। খুব কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। তবে চেষ্টা তো করতেই হবে। দলটা ক্রমশ ছন্দ ফিরে পাচ্ছিল। তবে চোট-আঘাত, কার্ড সমস্যা পরিস্থিতি কঠিন করে। তবে আমাদের ছেলেরা কতটা লড়াকু, তার প্রমাণ দিয়েছে। আশা করি সেই মানসিকতা পরের ম্যাচগুলোতেও বজায় থাকবে।”
ওড়িশার হয়ে বৃহস্পতিবার জয়সূচক গোলটি করেন বুমোস। মোহনবাগানের হয়ে খেলার সময়েও লাল-হলুদের জালে বল জড়িয়েছেন। ম্যাচের পর তিনি বলেন, “কলকাতা আমার কাছে পুরনো মাঠ। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এখানে। মোহনবাগান সমর্থকদের মিস্ করি। ওদের দলটা ভালই খেলছে। শুভেচ্ছা রইল।”
শুক্রবার বাইপাসের ধারে ‘কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি’তে শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিভিন্ন স্মারক নিয়ে একটি প্রদর্শনী। সেখানে কৃশানু দে-র বুট, ১৯৭৫ সালে মোহনবাগানকে পাঁচ গোল দেওয়ার ম্যাচে লাল-হলুদের অধিনায়ক অশোকলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুট, ১৯২৫ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ক্লাবের জার্সি, অতীতে জেতা ট্রফি— ইত্যাদি বহু জিনিস রাখা হয়েছে। এ দিন সেখানে হাজির হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় হিজাজি মাহের, ক্লেটন সিলভা এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy