আবার জল্পনা শুরু হল মার্তিনেসকে নিয়ে। ফাইল ছবি
আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর এখনও ক্লাবের হয়ে খেলতে নামেননি গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। কিছু দিন আগে ইনস্টাগ্রামে পায়ের নতুন ট্যাটুর ছবি দেন তিনি। তবে তাঁর পোস্ট করা ছবিতে ট্যাটু নয়, চর্চা হচ্ছে অন্য একটি বিষয় নিয়ে। ছবিতে মার্তিনেসের ডান পা-ও রয়েছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সেই পায়ে রয়েছে চারটি আঙুল। সমর্থকরা তাই দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
মার্তিনেসের বাঁ পায়ে বিশ্বকাপের ট্রফির আদলে তৈরি করা ট্যাটু দেখা যাচ্ছে। পায়ের যে জায়গা দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ মুহূর্তে রান্দাল কোলো মুয়ানির শট বাঁচিয়েছিলেন মার্তিনেস, সেই জায়গাতেই তিনি ট্যাটু করিয়েছেন। সেই ট্যাটুতে লেখা, ‘খিদেই আপনাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়।’ সে দিন টাইব্রেকারে কিংসলে কোমানের শট বাঁচিয়ে দেন মার্তিনেস। তাঁর কথায় বিক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে শট নেন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি।
মার্তিনেসের পায়ে কেন চারটে আঙুল দেখা যাচ্ছে, সেটার ব্যাখ্যা অবশ্য পাওয়া যায়নি। অনেকেই তাঁর অনেক রকম ব্যাখ্যা করেছেন। কেউ বলেছেন, মার্তিনেসের পায়ের একটি আঙুল জুতোয় ঢাকা পড়ে গিয়েছে। অনেকে বলেছেন, মার্তিনেস বিরল প্রতিভা। তাঁর ডান পায়ে আসলে চারটে আঙুলই রয়েছে। আর্জেন্টিনার গোলকিপার নিজে অবশ্য এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে জানা যায় মার্তিনেসকে তাড়াতে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এই গোলকিপারকে রাখতে চাইছেন না কোচ উনাই এমেরি। জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হলেই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে। এমন খবরই প্রকাশ্যে আনে ইউরোপের ফুটবলে ট্রান্সফার সংক্রান্ত খবরের সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘ফিকাজেস’।
তারা জানায়, আর কয়েক দিন পরেই ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হবে। সেখানেই মার্তিনেসকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মার্তিনেসের মেজাজ এবং আচার-আচরণ নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন এমেরি। তাঁকে দল থেকে বের করে দিতে চান। সেভিয়ার ইয়াসিন বুনুকে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশ্বকাপে গোলকিপারদের মধ্যে মার্তিনেস এবং ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচের পাশাপাশি নজর কেড়েছিলেন বুনুও। ফিকাজেস বলেছে, “ক্লাব এবং মার্তিনেসের বিচ্ছেদ কার্যত সম্পূর্ণ। কোচ নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন যাতে যত দ্রুত সম্ভব মার্তিনেসকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।”
এই খবর চমকে দেওয়ার মতোই। কারণ, তার আগে জানা গিয়েছিল এমেরি নিজে মার্তিনেসের সঙ্গে কথা বলে তাঁর আচরণ সংযত করার চেষ্টা করবেন। কারণ, বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে মার্তিনেসকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। সোনার গ্লাভসের পুরস্কার নিয়ে তাঁর কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিই হোক বা পুতুলের মুখে কিলিয়ান এমবাপের মুখোশ পরানো, বিভিন্ন কারণে তিনি এসেছেন শিরোনামে। ভবিষ্যতে ক্লাবের হয়ে যাতে কোনও বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন, তার জন্য আগেভাগেই তাঁকে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন এমেরি। না মানলে ভবিষ্যতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ক্লাব সূত্রের খবর ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy