ড্র করে হতাশ ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ। ছবি: রয়টার্স।
ইটালির বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়ে হারতে হয়েছিল। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও সেই ফলই হতে যাচ্ছিল। কিন্তু লড়াই ছাড়ল না আলবেনিয়া। পিছিয়ে পড়েও ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করল তারা। প্রথমে ১১ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আলবেনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ঝড়ে জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। সংযুক্তি সময়ে আবার গোল করে আলবেনিয়া। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে শেষ হয় খেলা। ড্র হলেও গোটা ম্যাচে টান টান লড়াই হল। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ল না। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করে ইউরো কাপের নক আউটের লড়াইয়ে টিকে রইল আলবেনিয়া। চাপ বাড়ল ক্রোয়েশিয়ার উপর।
দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল। তাই এই ম্যাচে জয় দরকার ছিল তাদের। সেই কারণে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া ও আলবেনিয়া। খাতায়-কলমে ক্রোয়েশিয়া শক্তিশালী হলেও আলবেনিয়াকে দেখে মনে হচ্ছিল, বিনা লড়াইয়ে হার মানবে না তারা।
১১ মিনিটের মাথায় ক্রোয়েশিয়াকে ধাক্কা দেয় আলবেনিয়া। আসানির ক্রস হেড করেন কাজ়িম লাসি। বল মাটিতে পড়ে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচের হাতের তলা দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। তাঁর মানের গোলরক্ষকের এই ধরনের গোল খাওয়া উচিত হয়নি।
গোল খাওয়ার পরে শোধ করার জন্য আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচ, পেরিসিচেরা আলবেনিয়ার বক্সে অনেক বেশি ঢুকতে শুরু করেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না তাঁরা। কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে আলবেনিয়া।
৩০ মিনিটের পরে আবার আক্রমণে গতি বাড়ায় আলবেনিয়া। ৩১ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করতে পারতেন আসানি। ভাল সুযোগ পান তিনি। বক্সের মধ্যে থেকে তাঁর শট ভাল বাঁচান লিভাকোভিচ। দলকে খেলায় রাখেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় আলবেনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুচিচ, পাসালিচদের নামিয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ান ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাটকো ডালিচ। অনেক সুযোগ তৈরি করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। যত সময় গড়াচ্ছিল তত ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন আলবেনিয়ার ফুটবলারেরা। তার ফায়দা তোলে ক্রোয়েশিয়া। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণে উঠতে থাকে তারা।
চাপের ফল পায় ক্রোয়েশিয়া। ৭৪ মিনিটে সমতা ফেরান ক্রামারিচ। আলবেনিয়ার ডিফেন্সকে কাটিয়ে ক্রামারিচের দিকে বল বাড়ান সুচিচ। ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল করেন ক্রামারিচ।
দু’মিনিট পরেই এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। তার জন্য অবশ্য দায়ী আলবেনিয়ার রক্ষণ। এ বার বক্সে ঢুকে সুচিচের দিকে বল বাড়ান ক্রামারিচ। সুচিচের শট আলবেনিয়ার ডিফেন্ডার ক্লস জাসুলার পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিছু করার ছিল না গোলরক্ষক স্ট্রাকোসার। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে আলবেনিয়া।
তার পরেও হাল ছাড়েনি আলবেনিয়া। সংযুক্তি সময়েও লড়াই জারি রাখে তারা। একেবারে শেষ মুহূর্তে বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন জাসুলা। তিনিই আত্মঘাতী গোল করেছিলেন। সেই তিনিই গোল করে সমতা ফেরান। কয়েক মিনিটের মধ্যে খলনায়ক থেকে নায়ক হয়ে ওঠেন জাসুলা। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy