মোহনবাগান দল। ছবি: টুইটার
ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপ এ-তে সবার উপরে শেষ করেছে তারা। একই গ্রুপে রয়েছে মোহনবাগান। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে তারা। ডুরান্ড কাপের এ বারের নিয়ম অনুযায়ী ছ’টি গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা ছ’টি দল কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ছ’টি দলের মধ্যে সেরা দু’টি দল শেষ আটে যাবে। অর্থাৎ, এখনও মোহনবাগানের সুযোগ রয়েছে শেষ আটে যাওয়ার। তার একমাত্র কারণ তাদের গোল পার্থক্য।
৩ ম্যাচ খেলে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৬। তাদের গোল পার্থক্য +৬। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে এখন সব থেকে বেশি পয়েন্ট সবুজ-মেরুনের। গোল পার্থক্যও সব থেকে বেশি। তবে বাকি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির এখনও ম্যাচ বাকি রয়েছে। ফলে ছবিটা বদলে যেতে পারে।
গ্রুপ বি— এই গ্রুপের শীর্ষে মুম্বই সিটি। ২ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ৬। গোল পার্থক্য +৭। অর্থাৎ, শেষ ম্যাচে ইন্ডিয়ান নেভির কাছে তারা হারলেও পরের রাউন্ডে যাওয়া প্রায় পাকা মুম্বইয়ের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহমেডান। ২ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ৩। গোল পার্থক্য -১। সাদা-কালো ব্রিগেডের শেষ ম্যাচ ২০ অগস্ট জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। তৃতীয় স্থানে থাকা জামশেদপুরের পয়েন্টেও ৩। তাদের গোল পার্থক্য -৪। এই দুই দলের খেলা যদি ড্র হয় তা হলে কোনও দলই মোহনবাগানকে ছুঁতে পারবে না। ফলে বাগানের সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। দু’দলের খেলায় কোনও দল জিতলে তার পয়েন্ট হবে ৬। অর্থাৎ, পয়েন্টে মোহনবাগানের সমান হবে সেই দল। তখন দেখা হবে গোল পার্থক্য। গোল পার্থক্যে মহমেডান ও জামশেদপুর দু’দলেই বাগানের থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
গ্রুপ সি— এই গ্রুপ থেকে তিনটি দলের সুযোগ রয়েছে। শীর্ষে থাকা গোকুলম কেরলের পয়েন্ট ২ ম্যাচে ৬। গোল পার্থক্য +৩। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ১ ম্যাচ খেলে ১। গোল পার্থক্য ০। চার নম্বরে থাকা কেরল ব্লাস্টার্সের পয়েন্ট ১ ম্যাচে ০। গোল পার্থক্য -১। বেঙ্গালুরু নিজেদের পরের দু’ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৭। অর্থাৎ, মোহনবাগানকে টপকে যাবে তারা। কেরল ব্লাস্টার্স আবার নিজেদের দু’ম্যাচ জিতলে ৬ পয়েন্টে পৌঁছবে। তারা মোহনবাগানকে ছুঁয়ে ফেলবে। তবে এই তিন দলের খেলা নিজেদের মধ্যেই রয়েছে। ফলে একটি দলের পয়েন্ট বাড়লে অন্য দল পয়েন্ট খোয়াবে। ম্যাচ ড্র হলে আবার দু’দলই পয়েন্ট হারাবে। তাতে মোহনবাগানেরই সুবিধা।
গ্রুপ ডি— এই গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে আছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। গোল পার্থক্য +৪। ২০ অগস্ট ডাউনটাউন হিরোজ়ের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ সেই ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৭। মোহনবাগানকে টপকে যাবে তারা। সে ক্ষেত্রে গ্রুপ শীর্ষে থাকা গোয়ার (৭) সঙ্গে পয়েন্ট সমান হবে তাদের। যে দলের গোল পার্থক্য (গোয়ার গোল পার্থক্য +৯) বেশি থাকবে সেই দল শেষ আটে যাবে। তবে অন্য দলও শেষ আটে যাওয়া প্রায় পাকা করে ফেলবে। তাতে চাপ বাড়বে বাগানের। তাই নর্থইস্ট পয়েন্ট নষ্ট করলে মোহনবাগানের সুবিধা।
গ্রুপ ই— এই গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লির পয়েন্ট ২ ম্যাচে ২। তারা শেষ ম্যাচ জিতলেও মোহনবাগানের নীচেই থাকবে। অর্থাৎ, এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল দল মোহনবাগানকে ছুঁতে বা টপকাতে পারবে না।
গ্রুপ এফ— এই গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওড়িশা ও তৃতীয় স্থানে থাকা রাজস্থানের পয়েন্ট ২ ম্যাচ খেলে ৩। দু’দলেরই গোল পার্থক্য ০। রাজস্থানের শেষ ম্যাচ ২১ অগস্ট ইন্ডিয়ান আর্মির সঙ্গে। রাজস্থান জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। এই মুহূর্তে শীর্ষে থাকা ইন্ডিয়ান আর্মির পয়েন্টও সে ক্ষেত্রে ৬ থাকবে। ওড়িশার খেলা ১৯ অগস্ট বোড়োল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ওড়িশা সেই ম্যাচ জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ৬। সে ক্ষেত্রে গোল পার্থক্যে একটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে। অন্য দল দু’টির মধ্যেও একটি দলের শেষ আটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে এই তিনটি দলের থেকেই গোল পার্থক্যে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy