প্রস্তুতি: অনুশীলনে মগ্ন প্রীতম ও প্রবীর। ছবি এটিকে-মোহনবাগান।
ডার্বি-সহ পর পর দু’ম্যাচে জয়ের পরে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পরে সোমবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই এটিকে-মোহনবাগানের। মুম্বইয়ের বিক্রমপ্রতাপ সিংহদের বিরুদ্ধে রক্ষণ একদম ছন্দে ছিল না সবুজ-মেরুনের। তাই নেরিয়ুস ভাল্সকিসদের জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামার আগে দলকে উজ্জীবিত করতে ব্যস্ত হাবাস।
মুম্বইয়ের কাছে হারের পরে হাবাসের মেজাজ এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, সে দিন হোটেলে ফিরে কারও সঙ্গে সে ভাবে কথা বলেননি। পরদিনও মুম্বই ম্যাচ ও জামশেদপুরের খেলার ভিডিয়ো বিশ্লেষণ করেছেন মন দিয়ে। শুক্রবার অনুশীলনে রয় কৃষ্ণ, হুগো বুমোসদের স্পেনীয় কোচ তাঁদের প্রশ্ন করে বসেন, রেফারির খারাপ সিদ্ধান্ত, বেহাল রক্ষণ বাদ দিলেও শুরুতে যে সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল, তা কেন কাজে লাগানো যায়নি? এর পরেই পরিসংখ্যান পেশ করে এটিকে-মোহনবাগান কোচ দেখিয়ে দেন প্রথম ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ১১টা ও পরের এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ১২টা, দুই ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগান তৈরি করেছে ২৩টি গোলের রাস্তা। যার মধ্যে গোল হয়েছে সাতটি। অর্থাৎ প্রাপ্ত সুযোগের অর্ধেকেরও কম গোল হয়েছে। আবার মুম্বই ম্যাচে প্রথমার্ধে বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে কোনও শটই নিতে পারেননি কৃষ্ণরা। এই সব পরিসংখ্যানই ফুটবলারদের সামনে পেশ করে হাবাসের নির্দেশ, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে শুরুতেই গোল চাই। অর্ধেক সুযোগও কাজে লাগাতে হবে।
এ বার প্রথম ম্যাচ থেকেই হাবাসের চিন্তা বাড়িয়েছে রক্ষণ। দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তিরির চোট। তিনি আপাতত সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। শনিবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেও জামশেদপুরের বিরুদ্ধে সোমবার খেলবেন, তেমন নিশ্চয়তা মেলেনি এটিকে-মোহনবাগান দল পরিচালন সমিতির কাছ থেকে। যদিও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ফিজিক্যাল ট্রেনার ও ফিজ়িয়ো স্পেনীয় স্টপার তিরিকে ম্যাচ ফিট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাবাস নেবেন রবিবারের শেষ অনুশীলনে দেখে। এখনও পর্যন্ত তাঁর দলে ঢোকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদিও হাবাস প্রবল ভাবে তাঁকে রক্ষণে চাইছেন। যদিও সবুজ-মেরুনের এই স্পেনীয় কোচ আধা-ফিট ফুটবলারকে ম্যাচে নামিয়ে দেওয়ার রাস্তায় হাঁটতে চান না।
সে কারণেই শনিবার কার্ল ম্যাকহিউ, প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসুদের নিয়ে দু’টি বিশেষ মহড়া দিয়ে রেখেছেন হাবাস।
প্রথমটি হল বিপক্ষের সেটপিসের সময়ে বা রক্ষণে দুই প্রান্ত থেকে বল উড়ে এলে বিপক্ষের পোক্ত চেহারার ফুটবলারকে কী ভাবে সামলাতে হবে। তার জন্য কী রকম মার্কিং ও কভারিং থাকবে, তা এ দিন ফের শেখানো হয়েছে প্রীতমদের। কারণ মুম্বই ম্যাচে মোর্তাদা ফলের সঙ্গে শূন্যে বলের লড়াইয়ে একাধিক বার এ রকম পরিস্থিতিতে পরাজিত হয়েছে এটিকে-মোহনবাগান রক্ষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy